বাংলাদেশের সাবেক কোচ ওয়াজেদ গাজী আর নেই

ওয়াজেদ গাজীযশোরেই নিভৃতে জীবন-যাপন করে আসছিলেন, অসুস্থও ছিলেন দীর্ঘদিন। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ওয়াজেদ গাজী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

খেলোয়াড়ি জীবনে বিজি প্রেস, ওয়ান্ডারার্স, ইপিআইডিসি, মোহামেডান ও বিজেএমসিতে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন ওয়াজেদ। বাঁ দিকের উইংয়ে ছিল পজিশন। পাঁচবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যও ছিলেন- ইপিআইডিসির হয়ে চারবার ও মোহামেডানের হয়ে একবার। এছাড়া কলকাতা মোহামেডান ক্লাবেও খেলেছেন এই সাবেক লেফট উইঙ্গার।

শুধু খেলে নয়, কোচ হয়েও ফুটবলের সঙ্গে ছিলেন ওয়াজেদ। রহমতগঞ্জ, আরামবাগ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, শেখ রাসেল ও বিজেএমসিতে ঘুরে-ফিরে কোচিং করিয়েছেন। কোচ হিসেবে শেখ রাসেলকে লিগে রানার্সআপ বানান, আর ব্রাদার্সকে এনে দেন ফেডারেশন কাপ। তার কোচিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল ১৯৮৭ সালে কায়েদ এ আযম ট্রফিতে অংশ নিয়েছিল। ফুটবলারদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন গাজী ওস্তাদ নামে।

২০১৪ সালে শেখ রাসেলের হয়ে সবশেষ কোচিং করানোর পর নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন ওয়াজেদ। যশোরে নিজের মেয়ের বাসায় মারা যান সাবেক বরেণ্য এই ফুটবলার। যদিও শেষ সময়ে অর্থকষ্ট ভুগছিলেন। এই তো কিছুদিন আগে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন তার জন্য সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছিল।

জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম সারওয়ার টিপু শোকার্ত হৃদয়ে বলেছেন, ‘ওয়াজেদ গাজী ভালো ফুটবলার ছিলেন। তার বাঁ পায়ের কাজ ছিল দেখার মতো। কোচ হিসেবেও ভালো ছিলেন। জাতীয় দলে তার খেলার মতো যোগ্যতা ছিল। কিন্তু কেন যে খেলা হয়নি, বোধগম্য নয়।’

বাদ জোহর যশোর ঈদগাহ ময়দানে ওয়াজেদের জানাযা হবে। তার মৃত্যুতে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহ্উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি, নির্বাহী কমিটির সব সদস্য, স্ট্যান্ডিং কমিটি ও বাফুফের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিক শোক প্রকাশ ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।