বাংলাদেশ নিয়ে ফিলিস্তিন কোচের কণ্ঠে এখন অন্য সুর

বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন সেমিফাইনালের একটি মুহূর্তবঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে শুক্রবার মুখোমুখি হবে ফিলিস্তিন-তাজিকিস্তান। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে থাকতে হচ্ছে দর্শক হয়ে। কক্সবাজারের সেমিফাইনালে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভালো খেলেও হারতে হয়েছে স্বাগতিকদের। ওই ম্যাচের পর ফিলিস্তিন কোচ নুরুউদ্দিন আলী প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। অথচ ফাইনালের আগে পাল্টে গেল সেই সুর!

সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হেরে গেছে, তবে পারফরম্যান্সে ফিলিস্তিনের চেয়ে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। ফরোয়ার্ডরা গোল পেলে হয়তো চিত্র পাল্টে যেতে পারতো। র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে লড়াই শেষে স্বাগতিকদের ইংলিশ কোচ জেমি ডে শিষ্যদের প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি তার দল ভালো খেলেছে বলেও দাবি করেছিলেন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে। শুধু জেমি নয়, ফিলিস্তিন কোচও মেনে নিয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, নিজেদের মাঠে এত দর্শকের সামনে ভালো খেলেও হেরেছে।’

কিন্তু দুই দিন না যেতেই নুরুউদ্দিনের কণ্ঠে ভিন্ন সুর। ফাইনালের আগে তার দাবি, ফিলিস্তিনের চেয়ে বাংলাদেশ সব দিক থেকে পিছিয়ে ছিল। সেমিফাইনাল নিয়ে ফিলিস্তিন কোচের বিশ্লেষণ, ‘আমি জেমির (ডে) বক্তব্যকে শ্রদ্ধা করছি। কিন্তু আমি বলব আমরা বাংলাদেশের চেয়ে সব দিক থেকে এগিয়ে ছিলাম, টেকনিক্যালি কিংবা ট্যাকটিক্যালি। আমরা বাংলাদেশের খেলার ধরন সম্পর্কে অবগত ছিলাম। জানতাম স্বাগতিকদের দুজন স্ট্রাইকার (জীবন ও বিপলু) আছে, কিন্তু তাদের বেশ ভালোভাবে আমরা রুখে দিয়েছি। আসলে দুজন স্ট্রাইকার আমাদের চার ডিফেন্ডারের বিপক্ষে কিছুই করতে পারেনি।’

প্রথম গোল হজমের পর ফিলিস্তিনের ডিফেন্সে চড়াও হয়ে খেলছিল বাংলাদেশ। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন নাবীব নেওয়াজ জীবনরা। এ ব্যাপারে নুরুউদ্দিনের বক্তব্য, ‘আসলে পুরো ৯০ মিনিট একই তালে খেলা কঠিন। তাই প্রতিপক্ষ ‍সুযোগ নিতেই পারে। ২০ মিনিটের পর তো আমরা (আক্রমণে) বিরতি দিয়েছিলাম। পুরো সময় জুড়ে চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব না।’