ফিজিও ছাড়াই কিশোর ফুটবলাররা যাচ্ছে নেপালে!

বাফুফে ভবনে বাংলাদেশ দলের সংবাদ সম্মেলনছেলেদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে অংশ নিতে মঙ্গলবার সকালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। ৩২ সদস্যের দলে পাঁচ জন কোচ এবং চার জন কর্মকর্তা থাকলেও ফিজিও বা চিকিৎসক নেই!

টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে মালদ্বীপ ও স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে। ২৭ অক্টোবর মালদ্বীপ এবং ২৯ অক্টোবর নেপালের সঙ্গে লাল-সবুজ দলের লড়াই। ‘বি’ গ্রুপের তিন দল ভারত, পাকিস্তান ও ভুটান। দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ ১ নভেম্বর খেলবে সেমিফাইনালে, ৩ নভেম্বর ফাইনাল।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দলের সঙ্গে ফিজিও বা চিকিৎসক না থাকার প্রসঙ্গ উঠলো অবধারিতভাবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের যুক্তি, ‘ইচ্ছে করলেই আমরা কাউকে দলের সঙ্গে যুক্ত করতে পারি না। কোচের ইচ্ছে অনুযায়ী সব কিছু হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে দল নিয়ে কাজ করছেন, শুধু তাদেরই নেপালে পাঠানো হচ্ছে। আর কর্মকর্তারা আছেন লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য।’

এ বিষয়ে প্রধান কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজের ব্যাখ্যা, ‘আমরা যারা কোচ হিসেবে যাচ্ছি, তাদের সবারই ক্রীড়া বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা আছে। ফিজিও বা ডাক্তার দলের সঙ্গে না থাকলেও কোনও সমস্যা নেই।’

প্রায় ৭০ দিন অনুশীলন করে নেপালে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কোচের প্রাথমিক লক্ষ্য সেমিফাইনাল, ‘গ্রুপে একটি ম্যাচ জিততে পারলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত। আমরা সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে এই টুর্নামেন্টে খেলবো। এরপর ফাইনালে যেতে পারলে তো ভালোই।’

বাংলাদেশে বয়সভিত্তিক ফুটবলে এক দিক দিয়ে অবহেলার শিকার ছেলেরা। মেয়েরা সারা বছর আবাসিক ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন করলেও ছেলেরা তেমন সুযোগ পায় না। কিশোর ফুটবলাররা নীলফামারীতে ক্যাম্প শেষে নিজেদের মধ্যে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নেপাল যাচ্ছে।

এ নিয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক কিছুটা বিব্রত, ‘অতীতে যা হয়েছে তা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ভবিষ্যতে ছেলেদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে। অর্থ সংকটের কারণে ইচ্ছে থাকলেও অনেক কিছু করতে পারি না আমরা।’