সাইফকে হারিয়ে সেমিফাইনালে শেখ জামাল

শেখ জামালের গোল উদযাপনগাম্বিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন তারা একসঙ্গে। আবারও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন সলোমন কিং ও সেইনি বোজাং। এই ফরোয়ার্ড জুটির চমৎকার পারফরম্যান্সেই ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে শেখ জামাল। শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে তারা হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু থেকে দুদলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ। কিন্তু গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করেছে শেখ জামাল। ২৯ মিনিটে দুই গাম্বিয়ানের প্রচেষ্টায় প্রথম গোল এসেছে। অধিনায়ক সলোমন কিংয়ের লব থেকে বক্সের ভেতরে গোলরক্ষককে ফাঁকায় পেয়ে ফরোয়ার্ড সেইনি বোজাং করেন লক্ষ্যভেদ।। ৩৫ মিনিটে ডিফেন্ডার নাসিরুলের ভুল পাসে বল পেয়ে বোজাং বক্সে ঢুকেও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি।

এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতির পর সাইফ ম্যাচে সমতা আনার চেষ্টা করতে থাকে। অবশেষে সফল হয় ৭১ মিনিটে। জাভেদ খানের পাসে বক্সের বাইরে থেকে কলম্বিয়ান দেইনার আন্দ্রেস করদোবার বুলেট গতির শট জালে জড়িয়ে যায়। কিন্তু ৫ মিনিট পর শেখ জামাল আবারও গোল করে তাদের হতাশ করে।

এবারও শেখ জামালের গাম্বিয়ান জুটিতে ঘায়েল সাইফ। সলোমন কিংয়ের ডান প্রান্তের ক্রস সেইনি বোজাং হেড করে নিশ্চিত করেন দলের জয় ও সেমিফাইনাল।

ম্যাচ শেষে সেইনি বোজাং উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, ‘সলোমন ও আমি একসঙ্গে গাম্বিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছি। সেই থেকে আমাদের বোঝাপড়া ভালো। দলকে সেমিফাইনালে নিতে পেরে আমি বেশ খুশি।’

সাইফয়ের নতুন কোচ জোনাথন ম্যাককিনস্ট্রি দলের হারে হতাশ, ‘আসলে প্রতিপক্ষ যেভাবে গোল করেছে, সেই উৎসগুলো আমাদের আটকানো উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। আমি এসে দলের সঙ্গে কাজ করার সময় পাইনি। এই দল নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। লিগে আশা করছি দল ভালো করবে।’