রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শেষ আটে চট্টগ্রাম আবাহনী

চট্টগ্রাম আবাহনী-রহমতগঞ্জ ম্যাচের একটি মুহূর্তটানা দুই ম্যাচ জিতে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গতবারের রানার্স-আপ চট্টগ্রাম আবাহনী। বৃহ্স্পতিবার গাম্বিয়ার মিডফিল্ডার মোমদু বাহর লক্ষ্যভেদে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে রহমতগঞ্জকে।

দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান ম্যাচে একটি করে হার ও ড্রয়ে ১ পয়েন্ট রহমতগঞ্জের।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ম্যাচের শুরুতে কিন্তু দাপট ছিল রহমতগঞ্জের। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা। যদিও ডি বক্সের ভেতর থেকে মিডফিল্ডার রকিবুল ইসলামের নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল।

২০ মিনিটে নষ্ট করে তারা আরও সহজ সুযোগ। সতীর্থের ব্যাক পাসে মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ফিরে আসে ক্রসবারে আঘাত করে।

রহমতগঞ্জ সুযোগ নষ্ট করলেও ভুল করেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। ৩৬ মিনিটে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় গতবারের রানার্স-আপ। মিডফিল্ডার কৌশিক বড়ুয়ার কর্নারে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড মোমোদু। দুই ম্যাচে এটি তার তৃতীয় গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর। কিন্তু ডিফেন্ডার কেষ্ট কুমারের শট বারের ওপর দিয়ে গেলে তা আর হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পেয়েছিল রহমতগঞ্জ, কিন্তু কংগোলিজ ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিওর ক্রস সাব্বির আহমেদের হেড হয়ে নেহালের গ্রিপে জমা পড়লে হতাশ হতে হয় তাদের।

ম্যাচ শেষে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু বলেছেন, ‘আমাদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত। এখন গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামতে হবে। আর সবসময় বড় ব্যবধানে জেতা যায় না।’

দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট পাওয়া রহমতগঞ্জ এখনও শেষ আটের আশা ছাড়ছে না। দলের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানীর বক্তব্য, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য। ক্রসবারে লেগে বলে ফিরে এসেছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে বলটি গোল গোললাইন অতিক্রম করেছে। কিন্তু রেফারি কেন যে গোল দিল না, বুঝতে পারছি না। তবে শেষ আটে যাওয়ার সুযোগ এখনও আমাদের আছে।’