শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের আবাহনী এগিয়ে যেতে পারতো সপ্তম মিনিটে। কিন্তু মামুনুলের কর্নার থেকে আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির শট নোফেলের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এলিটা বেঞ্জামিন গোললাইনের ঠিক সামনে হাত দিয়ে ফেরালেও রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যায় ঘটনাটা। আবাহনীর খেলোয়াড়রা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি।
পরের মিনিটেই অবশ্য হতাশা দূর হয় পেশাদার লিগের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের। মিডফিল্ডার সোহেল রানার বাড়ানো বলে বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া। বিরতির ঠিক আগে সমতা নিয়ে আসে নোফেল। ডিফেন্ডার কামরুল হাসানের শট খুঁজে পায় জাল।
বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা আবাহনীকে ৭৬ ও ৮২ মিনিটে হতাশ করেছেন নোফেলের গোলকিপার আপেল মাহমুদ। প্রথমবার ফরোয়ার্ড জুয়েল রানার ক্রসে কেউ হেড করার আগেই বল গ্রিপে নিয়েছেন তিনি। পরেরবার ওয়ালী ফয়সালের ফ্রি-কিক ফিরিয়েছেন ফিস্ট করে।
ম্যাচশেষে আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস বলেছেন, ‘লিগের প্রথম ম্যাচে দল তিন পয়েন্ট পেয়েছে। আমি তাই খুব খুশি। ম্যাচের শুরুতে পেনাল্টি পেলে বড় ব্যবধানে জিততে পারতাম আমরা।’
অন্যদিকে জয়সূচক গোল করে শীতল উচ্ছ্বসিত, ‘বদলি হিসেবে নেমে যেন গোল করতে পারি আমার কাছে কোচের তেমন প্রত্যাশাই ছিল। প্রত্যাশা পূরণ করে দলকে দলকে জয় এনে দিয়ে খুব ভালো লাগছে।’