‘স্বার্থপর ফুটবলের অভিযোগ ঠিক নয়’

বাংলাদেশের স্ট্রাইকার স্বপ্না (বাঁয়ে) ও অধিনায়ক মৌসুমীবঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক ফুটবলের উদ্বোধনী ম্যাচে সংযুক্ত আরব-আমিরাতকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে অজস্র সুযোগ নষ্ট না হলে স্বাগতিকরা জিততে পারতো বিশাল ব্যবধানে। ঠিক যেভাবে গত বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাই পর্বে আমিরাতকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল মেয়েরা।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ হওয়ার পর বাংলাদেশ যেন গোল মিসের মহড়ায় মেতে উঠেছিল। স্বপ্না-কৃষ্ণারা সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন অবলীলায়। কখনও ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরেছেন, কখনও গোলকিপারকে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। সতীর্থকে পাস না দিয়ে নিজে গোল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল মেয়েদের মধ্যে। ‘স্বার্থপর’ ফুটবলের চিত্রই যেন ফুটে উঠেছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সবুজ জমিতে।

প্রথম গোল করা সিরাত জাহান স্বপ্না অবশ্য স্বার্থপরতার অভিযোগ মানতে রাজি নন। মঙ্গলবার এই স্ট্রাইকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা স্বার্থপর ফুটবল খেলিনি। এই অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা চেষ্টা করেছি, অনেক সুযোগও পেয়েছি। কিন্তু দুই গোলের বেশি হয়নি। আমি হয়তো হ্যাটট্রিক করতে পারতাম। সেটা না হওয়ায় আর অনেক মিস করায় অবশ্যই খারাপ লাগছে। তবে যে ম্যাচ চলে গেছে সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই।’

আমিরাতের বিপক্ষে আরও গোল পেলে স্বপ্না টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পথে এগিয়ে যেতেন নিঃসন্দেহে। এই পুরস্কার নিয়ে তার অবশ্য তেমন মাথাব্যথা নেই, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য দলকে জয় এনে দেওয়া। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার নিয়ে ভাবছি না। জয়টাই সবচেয়ে বড়। তবে আমি যেহেতু স্ট্রাইকার পজিশনে খেলি, তাই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করা আমার দায়িত্ব। আগামী শুক্রবার কিরগিজস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে যত বেশি সম্ভব গোল করতে চাই।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমীর কণ্ঠেও সুযোগের অপচয় নিয়ে আফসোস, ‘গত বছর আমিরাতকে ৭ গোল দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার দিলাম মাত্র দুই গোল। আমরা অনেক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারিনি। প্রথম ম্যাচের সব ভুল সংশোধন করে কিরগিজস্তান ম্যাচে নামতে চাই। পরের ম্যাচে ফিনিশিং যেন ভালো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে আমাদের।’

ঘরের মাঠে খেলা হলেও তেমন চাপ অনুভব করছেন না বলে জানিয়েছেন মৌসুমী,  ‘আমরা কোনও চাপ অনুভব করছি না। শুধু নিজেদের ভুলে প্রথম ম্যাচে অনেক গোল মিস হয়েছে। আশা করি, সামনের ম্যাচে এই সমস্যা কেটে যাবে।’