জিতলেও শিরোপা লড়াই থেকে বেশ পিছিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১৭ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করা আবাহনীর অবস্থান দ্বিতীয়। ১৮ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আরামবাগ আছে পঞ্চম স্থানে।
বড় ব্যবধানে জিতলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি আবাহনী। জীবন-মামুনুলদের আক্রমণ ঠেকিয়ে পোস্ট অক্ষত রেখেছেন আরামবাগের ডিফেন্ডাররা।
তবে বিরতির পর আকাশি-হলুদ দলের আক্রমণের জোয়ার ঠেকাতে পারেনি আরামবাগ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল। ৪৬ মিনিটে গোল করতে উদ্যত ফরোয়ার্ড জুয়েল রানাকে ফেলে দেন গোলকিপার মাজহারুল ইসলাম হিমেল। সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে পেনাল্টির বাঁশি। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আবাহনীকে এগিয়ে দেন সানডে চিজোবা। ১৫টি গোল নিয়ে এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার এখন লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
এগিয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি সানডে, জীবন ও রুবেল। তাই উৎকণ্ঠা বাড়ছিল আবাহনী ভক্তদের। শেষ পর্যন্ত ৮৬ মিনিটে দূর হয় দুশ্চিন্তা। সানডের পাস থেকে প্লেসিং শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুয়েল।
ইনজুরি টাইমে দুই বদলি খেলোয়াড়ের বোঝাপড়ায় শেষ গোলের জন্ম। মিডফিল্ডার ইমতিয়াজ সুলতান জিতুর ক্রসে হেড করে আবাহনীকে বড় জয় এনে দেন ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ শীতল।