ফুটবলকে বিদায় বললেন স্নেইডার

ওয়েসলে স্নেইডাররবিন ফন পার্সি ও আরিয়েন রবেনের পর ফুটবল থেকে অবসর নিলেন নেদারল্যান্ডসের আরেক তারকা ওয়েসলি স্নেইডার। সোমবার তিনি বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দেন।

সবশেষ মৌসুমের পর তুর্কি ক্লাব ফেনুর্দে ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ফন পার্সি। আর বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়ার পর ফুটবলকে বিদায় জানান রবেন। এবার অবসরের ঘোষণা দিলেন নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৪ ম্যাচ খেলা স্নেইডার।

ফুটবল ছেড়ে এবার ব্যবসায় মন দিচ্ছেন স্নেইডার। ডাচ শীর্ষ লিগের ক্লাব উতরের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করেছেন তিনি। এখন থেকে দলের খেলা প্রাইভেট বক্সে বসে দেখবেন ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডসকে বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলা এই মিডফিল্ডার।

ক্লাবের টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, ‘এই শহরের জন্য আমার অনেক ভালোবাসা। এখন আমি খেলা ছেড়ে দিচ্ছি। আমার নতুন অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে আমি সুন্দর একটা জায়গা চাই।’

২০০২ সালে আয়াক্সের হয়ে সিনিয়র ফুটবলে খেলা শুরু করেন স্নেইডার। এরপর ইউরোপ দাপিয়ে বেড়ান রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, গ্যালাতাসারেই ও নিসের হয়ে। মাদ্রিদ ক্লাবে দুই বছরের ক্যারিয়ারে ২০০৮ সালে জেতেন লা লিগা শিরোপা। এই সাফল্য ধরে রেখে তিনি ২০০৯ সালে যোগ দেন ইন্টারে, সেখানে পরের বছর মরিনহোর অধীনে জেতেন ট্রেবল সিরি ‘এ’, কোপা ইতালিয়া ও চ্যাম্পিয়নস লিগ।

২০১০ সালের বিশ্বকাপে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে ডাচদের ফাইনালে তোলেন। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জেতেন সিলভার বল। ওই বছরের ব্যালন ডি’অরের তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম না থাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। স্নেইডার এরপর তুর্কি জায়ান্ট গ্যালাতাসারেইতে ৫ বছর কাটান। সেখানে দুটি সুপার লিগ শিরোপার সঙ্গে তিনটি কাপ জেতেন। নিসের সঙ্গে খুব অল্প সময় কেটেছে তার। ফরাসি ক্লাবের সঙ্গে মাত্র ৫টি লিগ ম্যাচ খেলে যোগ দেন কাতারি ক্লাব আল-ঘারাফায়। কিউএসএল কাপ জয়ের স্বাদ নিয়ে দেড় বছরের মেয়াদ শেষ করেন জুলাইয়ে। এরপর থেকেই ফুটবলের বাইরে ছিলেন স্নেইডার, এবার জানালেন বিদায়।