কোচ মারুফের নতুন চ্যালেঞ্জ

মারুফুল হক‘ছোট’ দলের বড় কোচ তিনি। তাই বলে সাফল্য কম নয়। বছর দুয়েক আগে আরামবাগের দায়িত্ব নিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা কাপের শিরোপা। ঢাকার ফুটবলে মারুফুল হকের মর্যাদা অন্যরকম। দেশের অন্যতম সেরা কোচ এবার ‘অতিথি’ হিসেবে চট্টগ্রাম আবাহনীর দায়িত্বে।

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী। ২০১৫ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নও তারা। ফাইনালে ভারতের ইস্টবেঙ্গলকে চট্গ্রামের সফল দলটি হারিয়েছিল ৩-১ গোলে। দুই বছর পর অবশ্য শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি। সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার এফসি পোচেনের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল। এবার তাই মারুফের সামনে শিরোপা পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ।

নিজেই স্বীকার করলেন, কাজটা কতটা কঠিন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বললেন, ‘আমার জন্য এটা নতুন দায়িত্ব, নতুন চ্যালেঞ্জ। কিছুটা চাপ তো অনুভব করছিই। তবে এই চ্যালেঞ্জ স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার চেষ্টাও করছি। আমরা ঘরের মাঠে খেলবো। তাই সব চাপ জয় করে এগিয়ে যেতে হবে। শিরোপা জয়ই আমাদের লক্ষ্য।’

চট্টগ্রাম আবাহনী ছাড়া টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অন্য প্রতিনিধি প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। ভারতের ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগান, আই-লিগ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটি এফসি, টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস, মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসির সঙ্গে শিরোপা লড়াইয়ে নামতে হবে তাদের। লক্ষ্য কঠিন হলেও সাফল্য পেতে আশাবাদী মারুফ, ‘এবার বিদেশি দলগুলো দারুণ শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে কঠিন লড়াই হবে আমাদের। তবে আমি আশাবাদী, ছেলেরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।’

শুধু মারুফ একা নন, জামাল ভূঁইয়াও এখন চট্টগ্রাম আবাহনীর ‘অতিথি’। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব থেকে ধারে খেলতে আসা দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারের চোখেও শিরোপার স্বপ্ন, ‘চাপ থাকবে, তবে চাপ জয় করেই খেলতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, বিপুল সমর্থন পাবো আমরা। স্বাগতিক দল হিসেবে ভালো খেলে শিরোপা জিততে চাই।’