শেষ ষোলোতে লিভারপুল-চেলসি

মো. সালাহ করেছেন একটি গোল। পা হড়কালেই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। আর ড্র করলে নিশ্চিত শেষ ষোলো। সব শঙ্কা উড়িয়ে সালসবুর্গকে ২-০ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা

গত মৌসুম আর এই মৌসুমেও একই দৃষ্টান্ত রাখলো ক্লপের দল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা গতবার এসেছিল নকআউট নিশ্চিতের আশায়। একটি পয়েন্ট পেলেই হতো। এবারও ঘটলো একই ঘটনা।

অবশ্য এই ম্যাচে প্রথমার্ধে দুটি দলই বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়িয়েই জালের ঠিকানা খুঁজে নেয় লিভারপুল। ৫৭ মিনিটে কেইতার হেডে প্রথম গোল। দুই মিনিট বাদে ২-০ করে নেন মোহাম্মদ সালাহ। এই দ্বিতীয় গোল মোমেন্টাম কেড়ে নেয় সালসবুর্গের কাছ থেকে। পরে আরও কয়েকবার প্রতিআক্রমণে গিয়ে চেষ্টা করেছে গোল পেতে। এই জয়ে গ্রুপসেরা হয়ে নকআউটে লিভারপুল। ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট তাদের, সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নাপোলির। তারা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে গেঙ্ককে।

লিভারপুলের মতো শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে চেলসিও। লিঁলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্লুরা। ট্যামি আব্রাহাম ও সিজার আজপিলিকুয়েতার গোলে প্রথমার্ধে স্কোর ২-০ করে নেয় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৮ মিনিটে লিঁল একটি গোল শোধ দিলেও জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। তাদের মতো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড স্লাভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলো।

ইতিহাস গড়েছেন আনসু ফাতি। অপর দিকে বার্সেলোনার বিপক্ষে জয় পেলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হতো ইন্টার মিলানের। ২-১ গোলে জিতে ইন্টারের স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিয়েছে কাতালানরা। তাদের জয়ের দিনে ইতিহাস গড়েছেন আনসু ফাতি। চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে কম বয়সে গোলের কীর্তি গড়েছেন ১৭ বছর বয়সী ফাতি। তার আগের গোলটি করেছেন পেরেস। ইন্টারের হয়ে একটি গোল করেন লুকাকু।

গতবার দুর্বার গতিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা আয়াক্স এবার বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্বেই। ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হেরে গেছে ২-১ গোলে। শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে লিওঁ। লিপজিগের সঙ্গে ড্র করেছে ২-২ গোলে। ‘জি’ গ্রুপ থেকে লিপজিগও গ্রুপসেরা হয়ে যাচ্ছে নকআউটে।