রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার অবশ্য দুজন আছেন। সেই দুজন লিওনেল মেসি ও ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং আবার শুধু লা লিগারই প্রতিনিধি। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের বাজে পারফরম্যান্সে রিয়ালের কোনও খেলোয়াড়ের জায়গা হয়নি। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতার শেষ ষোলো থেকে ছিটকে গিয়েছিল ‘লস ব্লাঙ্কোস’।
একাদশে জায়গা হয়নি কিলিয়ান এমবাপ্পেরও। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী লিভারপুলের দুই ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ ও রবের্তো ফিরমিনোর না থাকাটাও বিস্ময়কর।
অবশ্য ২০ লাখ ফুটবলপ্রেমীর ভোটে গড়া একাদশে লিভারপুলেরই দাপট। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত উয়েফা প্রতিযোগিতায় পারফরম্যান্সের বিচারে ইংলিশ ক্লাবটির প্রতিনিধি পাঁচজন। রক্ষণের প্রায় পুরোটাই চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দখলে। গোলবারের নিচে আলিসন, রক্ষণে রয়েছেন ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড, ভার্জিল ফন ডাইক ও অ্যান্ড্রু রবার্টসন। আর আক্রমণভাগে আছেন সাদিও মানে। রক্ষণের অন্য নামটি জুভেন্টাসের ডাচ ডিফেন্ডার মাথিয়াস ডি লিখট।
৪-২-৪ ছকে সাজানো একাদশে মাঝমাঠের দায়িত্বে ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা ও বার্সেলোনার ডি ইয়ংয়ের। আর আক্রমণভাগে মানের সঙ্গে রয়েছেন মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ত লেভানদভস্কি।
উয়েফার বর্ষসেরা একাদশ: আলিসন; ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড, মাথিয়াস ডি লিখট, ভার্গিল ফন ডাইক, অ্যান্ড্রু রবার্টসন; কেভিন ডি ব্রুইনা, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং; লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, রবার্ত লেভানদভস্কি, সাদিও মানে।