টানা দুই ম্যাচ জয়, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠলো বুরুন্ডি। বাংলাদেশের গ্রুপ থেকে প্রথমেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এ ম্যাচের শুরুটা অবশ্য এঁকেছিল উল্টো ছবি। ২৬ মিনিটে পেরি মনিয়াই গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন সেশেলসকে।
বিরতি পর্যন্ত নিজেদের অগ্রগামিতা ধরে রাখতে পেরেছিল এক লাখ মানুষের দেশটি। কিন্তু বিরতির পর বুরুন্ডি নিজেদের জাত চিনিয়ে সমতায় ফেরে ৫৫ মিনিটে। এনদিকুমানা আসমানের শট গোলকিপারের পায়ে লেগে লাফিয়ে ওঠার পর হেডে জাল খুঁজে নেন আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক পাওয়া শিমিরিমানা জসপিন।
৪ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টে গোলদাতা তালিকার শীর্ষে রয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। পাঁচ মিনিট পরই বুরুন্ডির দ্বিতীয় গোল, প্লেসিং শটে গোল করেন ট্যাম্বায়ে আমিসি।
৬২ মিনিটে বুরুন্ডির তৃতীয় গোলে শেষ হয়ে যায় সেশেলসের আশা। আমিসির নিখুঁত শট গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে (৩-১)।
উচ্ছ্বসিত বুরুন্ডির কোচ বিফুবুসা এখন সেমিফাইনালের অপেক্ষায়, ‘প্রথম গোল খেয়েও আমরা বিচলতি হয়ে পড়িনি। আত্মবিশ্বাস ছিল ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। সেটাই হয়েছে। এখন সেমিফাইনালে বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কা যেই আসুক না কেন, আমরা প্রস্তুত।’
সেশেলসের কোচ রালফজিন লুইসের আত্মবিশ্লেষণ, ‘আমরা গোল করে তা ধরে রাখতে পারিনি। মনোযোগের অভাব ছিল। সুযোগ নষ্ট হয়েছে অনেক।’