ফিফা: জুলিও সিজার, প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে কোন বিষয় আপনাকে অবাক করেছে?
জুলিও সিজার: ফুটবলকে তারা কতটা ভালোবাসে! চোখে পড়ার মতো একটা ব্যাপার ছিল, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ভক্তদের মধ্যে বিভক্তি! দুর্ভাগ্য যে ঢাকায় খুব বেশি সময় থাকতে পারিনি আমি। কিন্তু শহরের অনেক কিছু আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। এটা ছিল দারুণ ভ্রমণ।
ফিফা: ঢাকায় থাকার সময় দেশটির ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আপনার কথা বলার সুযোগ হয়েছে।
জুলিও সিজার: খুব অল্প সময় কথা হয়েছে আমাদের। কিন্তু তিনি পরামর্শ চেয়েছেন, কীভাবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থার গড়পড়তা উন্নতি করা যায়। জনসম্পদ বাড়াতে আমি উনাকে আরও বেশি বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছি। বিশেষ করে মানসম্মত কোচ ও ভালো পেশাদার ট্রেনারকে নেওয়া উচিত, যারা আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে ট্রেনিং করাতে পারবে।
জুলিও সিজার: দেখেছি, ফুটবলের কী শক্তি! শিশুদের মনে পেশাদার খেলোয়াড় হওয়ার প্রবল উন্মাদনা কাজ করে। নারীদের বৈশ্বিক খেলার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফুটবলের প্রতি মেয়েদের দায়বদ্ধতা দেখতে পেরে ভালো লেগেছে।
ফিফা: আমাদের মনে হয়, ছোটরা আপনার কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছে, সেরা কারও কাছ থেকে শেখার ইচ্ছা তো আছেই। কিন্তু আপনি কি তাদের কাছ থেকে কিছু শিখেছেন?
জুলিও সিজার: আমি ওখানে যা শিখেছি- সেটা কেবল ছোটদের কাছ থেকে নয়, সব মানুষের কাছ থেকেই; সেটা হচ্ছে- অনেক দুঃখ-কষ্টেও তারা হাসতে ভোলো না। আমি যতক্ষণ থেকেছি, ততক্ষণ তাদের মুখে হাসি দেখেছি।
জুলিও সিজার: খুব অল্প সময় তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তবে ফলপ্রসূ। একজন গোলকিপারকে ম্যাচে কতটা মনোযোগ ধরে রাখতে হয়, সেটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
ফিফা: বাংলাদেশ সফরে অনেকে আপনার ইংরেজি বলার প্রশংসা করেছেন। অনেক চর্চা করেছেন নিশ্চয়?
জুলিও সিজার: (হাসি) আমি জানি ইংরেজিতে আমাকে আরও উন্নতি করতে হবে, কিন্তু আমি চেষ্টা করছি। এখন যথেষ্ট ভালোই বলতে পারি। কিন্তু আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আছে, যখন ক্যামেরার সামনে বলতে হয়। তবে আমি প্রত্যেক দিন ভালো করার চেষ্টা করছি, এটা আমার ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।