কয়েক বছর ধরে ম্যানসিটির বিপুল ব্যয়ের সমালোচনা করে আসছিলেন তেবাস। শেষ পর্যন্ত ‘ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়ম ভঙ্গ করার শাস্তি পেয়েছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। উয়েফা জানায়, ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে স্পনসর থেকে আসা আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে ম্যানসিটি। ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা গুনতে হবে সিটিজেনদের। দেরিতে হলেও শাস্তিটা তাদের প্রাপ্য ছিল বলে মনে করেন স্প্যানিশ লিগের প্রধান।
ম্যানসিটি নিষিদ্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তেবাসের টুইট, ‘উয়েফা অবশেষে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিলো। ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের নিয়ম জোরদার এবং এটি ভঙ্গ করলে শাস্তি দিতে হবে। কয়েক বছর ধরে ম্যানসিটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে এসেছি আমরা। শেষ পর্যন্ত ভালো দৃষ্টান্ত তৈরি হলো এবং আরও হবে আশা করি। একেবারে না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হওয়া ভালো।’
পুরো ইউরোপজুড়ে শনিবার আলোচনায় ছিল ম্যানসিটির নিষেধাজ্ঞা। স্পেন, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম সরগরম। প্রথম পাতায় মার্কা বড় করে শিরোনাম করেছে, ‘সিটি, ইউরোপ থেকে ছিটকে গেলো!’ এএস ইংরেজিতে ছেপেছে একটিই শব্দ, ‘আউট’। ‘সিটির জন্য বড় ধাক্কা: দুই বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ ছাড়া’: স্পোর্তের শিরোনাম। তারা লিখেছে, এটা ‘পুরো দুর্গ গুঁড়িয়ে দিলো’, ‘সিটির প্রকল্প ভয়ংকর বিপদের মধ্যে’।
সিটির নিষেধাজ্ঞায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে জার্মান পত্রিকাগুলো। বিল্ডের মাথিয়াস ব্রজেলমান লিখেছেন, ‘বার্তা পরিষ্কার। নিয়ম-নীতি শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও। প্রত্যেককে সেগুলো মানতে হবে, সেটা ম্যানসিটিই হোক আর এসসি ফ্রেইবুর্গ।’ উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার সেফেরিনের এ উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। কিকার সম্পাদক জর্জ জ্যাকব বলেছেন, ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লেকে এতদিন বলা হতো ‘শুধুই কাগজের বাঘ’, সেটা উঠে গেলো। ফ্রান্সের পত্রিকা লেকিপ শনিবার এক লাইনে লিখেছে, ‘নীল আকাশে বজ্রাঘাত’।