মেসির খারাপ খেলার প্রার্থনায় ম্যারাডোনা!

মেসি-ম্যারাডোনানাপোলি মানেই ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ইতালিয়ান ক্লাবটির জেতা দুটো সিরি-আ’ই এসেছে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির হাত ধরে। নেপলসের মানুষদের কাছে তিনি ‘ঈশ্বর’। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় ইতালিয়ান ক্লাবটিতে কাটানোয় ম্যারাডোনারও তাদের প্রতি ভালোবাসার শেষ নেই। সেই নাপোলির বিপক্ষে যখন বার্সেলোনা মুখোমুখি হচ্ছে, তখন ‘প্রাণের ক্লাবের’ সমর্থনই তো করবেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।

মজার ব্যাপার হলো বার্সেলোনায় দুই বছর কাটিয়েই তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন নাপোলিতে। সেই হিসাবে তার সাবেক দুই ক্লাব একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে। যেখানে ম্যারাডোনার প্রার্থনায় মেসির খারাপ পারফরম্যান্স! ফুটবলের টুকটাক খোঁজ-খবর রাখা কে না জানে মেসিই প্রাণভোমরা বার্সেলোনার। নাপোলির ভালো চাইতে গেলে মেসির খারাপ চাওয়াই তো স্বাভাবিক।

নাপোলির মাঠে নামার আগে লা লিগায় এইবারের বিপক্ষে ৪ গোল করে দারুণভাবে প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন মেসি। যদিও চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াইয়ে মেসির এমন খেলা দেখতে চান না ম্যারাডোনা। এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আশা করছি নাপোলির বিপক্ষে ভালো খেলতে পারবে না মেসি। ওর খারাপ একটি দিনই চাইব।’

তবে বার্সেলোনা তারকায় ম্যারাডোনার আছে মুগ্ধতা, ‘অসাধারণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় ও। একই সঙ্গে খুব ভালো ছেলে। ও এভাবেই ক্যারিয়ার চালিয়ে নিয়ে যাক এটা মনে করে, সে-ই বর্তমান ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়। আর্জেন্টিনায় মেসির প্রত্যেকটা ম্যাচ আমি উপভোগ করি।’

বার্সেলোনার প্রতি কৃতজ্ঞতা আছে ম্যারাডোনার। কাতালান ক্লাবটি দিয়েই ইউরোপে পা রেখেছিলেন ১৯৮৬ সালে প্রায় একাই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো ‘মহানায়ক’। তবে মনটা তার পড়ে থাকে ম্যারাডোনার সবসময় নাপোলিতেই, ‘নাপোলিকে আমি সবকিছু দিয়েছি এবং নাপোলিও আমাকে সবকিছু দিয়েছে তাদের ভালোবাসা প্রদর্শনের মাধ্যমে। ওই (১৯৮০’র দশক) বছরগুলো নাপোলি ও আর্জেন্টিনার জন্য ছিল দুর্দান্ত। আমরা জিতেছিলাম চ্যাম্পিয়নশিপ (সিরি-আ), উয়েফা কাপ ও বিশ্বকাপ।’