আর্জেন্টিনার জার্সিতে শিরোপা হাতছোঁয়া দূরত্বে থাকলেও ছুঁয়ে দেখা হয়নি মেসির। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও জার্মানির কাছে হেরে জলে ভিজেছিল মেসির চোখ। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকাতেও একই পরিণতি, ফাইনালে হার। তাই জাতীয় দলের হয়ে ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপ পোড়ায় বার্সেলোনা অধিনায়ককে।
দেশের হয়ে মেসির একটি ট্রফি আছে। ২০০৮ সালের অলিম্পিকে সোনা জয়। কিন্তু সেটি বয়সভিত্তিক ফুটবল হওয়ায় জাতীয় দলের স্বাদটা অপূর্ণ রয়েই গেছে। বেইজিংয়ের ওই অলিম্পিকে মেসির সঙ্গে খেলেছিলেন উস্তারি। মূল দলের হয়ে ২ ম্যাচ খেলা ৩৩ বছর বয়সী গোলরক্ষক মনে করেন, অবসরের আগে মেসি যদি বিশ্বকাপ জিততে না পারেন, তাহলে ফুটবলে বড় অন্যায় হবে।
এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উস্তারি বলেছেন, ‘মেসি বিশ্বকাপ না জিতলে অন্যায় হবে। এই বিষয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই।’ ২০১৪ সালে তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে গেলেও ২০১৮ সালে বিদায় নিতে হয়েছিল শেষ ষোলো থেকে।
তবে মেসির দেশভক্তি নিয়ে কথা উঠেছে অনেকবার। এখনও অনেক আর্জেন্টাইন মনে করেন, বার্সেলোনার জন্য যেভাবে খেলেন, আর্জেন্টিনার জন্য তেমনভাবে খেলেন না এই ফরোয়ার্ড। এই নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে উস্তারি বলেছেন, ‘মেসিকে সন্দেহ করাটা বোকামি। আমি একটি ঘটনা বলি, জাতীয় দলের খারাপ ফলের কারণে আমি মেসিকে একটা শিশুর মতো কাঁদতে দেখেছি।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘মনে আছে ২০১১ সালে কোপা আমেরিকার সময় আমি আমার হাঁটুর চোট কাটিয়ে ওঠার কাজ করছিলাম, যখন তারা (আর্জেন্টিনা) হেরে গেল, আমি মেসিকে দেখলাম এজেইজা মাঠে, তার ওই রকম বিধ্বস্ত চেহারা আমি কখনও দেখিনি।’