উড়তে থাকা চেলসিকে মাটিতে নামালো ‘তলানির দল’

ছবি: চেলসি ওয়েবসাইটকরোনাভাইরাস পরবর্তী খেলায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল চেলসি। প্রিমিয়ার লিগের আগের ম্যাচের কথাই ধরা যাক, দারুণ ফুটবলে হারিয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিকে। তাদের ওই জয়ে লিভারপুলের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। সেই চেলসিই কিনা এভাবে ধাক্কা খেলো! রেলিগেশন শঙ্কায় থাকা ওয়েস্ট হ্যামের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে ব্লুরা।

অথচ লন্ডন স্টেডিয়ামে উইলিয়ানের গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসিই। যদিও ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের পেনাল্টি থেকে পাওয়া লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ওয়েস্ট হ্যামকে সমতায় ফেরান টমাস সুচেক। এরপর বিরতি থেকে ঘুরে এসে এগিয়েও যায় স্বাগতিকরা, ৫১ মিনিটে মাইকেল আন্তোনিও স্কোরশিটে নাম তুললে।

ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া চেলসি ৭২ মিনিটে সমতায় ফেরে উইলিয়ানের দ্বিতীয় গোলে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ বাঁশি বাজার এক মিনিট আগে চেলসির কফিনে পেরেক ঠুকে দেয় অ্যাস্টন ভিলা। ৮৯ মিনিটে দারুণ গোল করে আন্দ্রি ইয়ারমোলেঙ্কো এনে দেন অবিশ্বাস্য এক জয়।

রেলিগেশন অঞ্চলে থাকা দলের চেলসির মতো ফর্মে থাকা দলের বিপক্ষে জয় চাট্টিখানি কথা নয়। কেননা লম্বা বিরতি শেষে মাঠে ফিরে রীতিমত উড়ছিল ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল। প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে এফএ কাপেও জয়রথ ছুটছিল তাদের। সেই তারাই হেরে গেছে ওয়েস্ট হ্যামের কাছে।

লিগের আগের ম্যাচে ম্যান সিটিকে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল চেলসি। করোনাভাইরাস পরবর্তী প্রিমিয়ার লিগে আগের দুই ম্যাচেও পেয়েছিল জয়। এর মধ্যে আছে লিস্টার সিটির বিপক্ষে পাওয়া এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের জয়ও। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাস পরবর্তী টানা চার ম্যাচ জেতার পর প্রথম হারের মুখ দেখলো ব্লুরা।

হারের পরও পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ আছে চেলসি। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের জায়গা ধরে রাখার কাজটা কঠিন হয়ে উঠলো। ৩২ ম্যাচ শেষে ৫৪ পয়েন্ট চেলসির, সমান ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট পিছিয়ে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে যথাক্রমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও উলভারহ্যাম্পটন।