লা লিগা ক্লাবের মূল দলে অবশ্য খেলার সুযোগ হয়নি সাদিক অ্যাডামসের। ৩০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আতলেতিকোর ‘বি’ দলের হয়ে খেলেছেন ২০০৮-০৯ মৌসুমে। মাদ্রিদের ক্লাবটির ভ্রমণে ২২ ম্যাচে করেছিলেন ৯ গোল। তবে মূল দলের রিজার্ভ খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া অ্যাডামস ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড সকার ম্যাগাজিনের শীর্ষ ৫০ তরুণ ফুটবলাদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
ঘানা জাতীয় দলের হয়ে ২ ম্যাচে ১ গোল করা এই স্ট্রাইকারকে আনতে যাচ্ছে আরামবাগ। বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরামবাগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, ‘আমাদের নতুন একজন পৃষ্ঠপোষক এসেছেন। তিনি মূলত বিদেশি কোচ থেকে শুরু করে খেলোয়াড় সংগ্রহ করছেন। আমরা এবার উঁচুমানের বিদেশি নিয়ে আসছি।’
সবশেষ লেবাননের ক্লাব শাবাব বুর্জে খেলে আসা অ্যাডামস শুধু একা নন, তার সঙ্গে আসছেন ঘানার আরও এক খেলোয়াড় ইব্রাহিম মোরো। ২৬ বছর বয়সী মিডফিল্ডার অবশ্য এক ম্যাচ খেলেছেন ঘানার জার্সিতে। তিনি সবশেষ খেলেছেন মিশরের এনপিপিআই ক্লাবে।
এদিকে এশিয়ান কোটায় আরামবাগ আনছে আফগানিস্তানের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফারদিন হাকিমিকে। দেশের জার্সিতে ৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তিন বিদেশি নিশ্চিত করার পর এখন চতুর্থ খেলোয়াড় খুঁজছে আরামবাগ। শিগগির এই কোটাও পূরণ হওয়ার আশা ইয়াকুবের, ‘চতুর্থ বিদেশিও দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। ভিসা প্রাপ্তি হলেই বিদেশিরা ঢাকায় চলে আসবে।’
আরামবাগের প্রাক-মৌসুম ক্যাম্প নভেম্বরে শুরু হতে পারে পঞ্চগড়ে। নতুন যোগ হতে যাওয়া বিদেশিদের সঙ্গে ভারতের অভিজ্ঞ কোচ সুব্রতর হাত ধরে নতুন উদ্যোমে শুরুর পরিকল্পনা তাদের। ভারতের আই-লিগের বিভিন্ন দলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা দিয়ে ক্যাসিনো-কাণ্ডে বিপর্যস্ত আরামবাগকে তিনি কতটা পথে ফেরাতে পারেন, সেটাই দেখার।