ম্যারাডোনার মরদেহের সঙ্গে ছবি তুলে ছাঁটাই

ম্যারাডোনা-ছবিকরোনাভাইরাস-ভীতি ভুলে গিয়েছিলেন সবাই। প্রিয় তারকাকে শেষ বিদায় জানাতে ভক্তের স্রোতধারা বয়েছে কাসা রোসাদায়। বুয়েন্স আয়ার্সে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট অফিসে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা জানানোর মাঝে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। ‍পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ফুটবল ভক্তের। তবে এখন সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে একটি ছবি। ম্যারাডোনার মরদেহের সঙ্গে ছবি তুলেছেন তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কাজ করা এক কর্মী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর চাকরি হারিয়েছেন ওই কর্মী।

ম্যারাডোনার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এই ছবি তোলায় ভীষণ চটেছেন। এমনিতেই ফুটবল কিংবদন্তির আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা তার মৃত্যুতে চিকিৎসকদের দিকে আঙুল তুলেছেন। এরমধ্যে মরদেহের সঙ্গে ছবি তোলার ঘটনায় নিজের সব রাগ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। এমন অসম্মানজনক কাজ কেউ কীভাবে করতে পারে, বুঝতে পারছেন না মোরলা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা পোস্টে তিনি শাস্তি দাবি করেছেন, লিখেছিলেন, ‘আমি বন্ধুর স্মৃতির উদ্দেশ্যে, আমি তখনই শান্ত হবো, যখন এই ঘৃণ্য কাজ যে করেছে, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।’

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, ছবিটি যিনি তুলেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন, তার নাম ডিয়েগো মোলিনো। ইতিমধ্যে তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে এই শাস্তিতেও হয়তো শেষরক্ষা হচ্ছে না ওই কর্মীর। কারণ ম্যারাডোনা ভক্তরা শান্ত হননি। সামাজিক যোগামাধ্যমগুলোতে ওই কর্মীর আরও বড় শাস্তির দাবি তুলেছেন তারা।

বুধবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। হাসপাতাল ছেড়ে ফিরেছিলেন নিজ বাড়িতে। কে জানতো, পৃথিবীতে তার জন্য অপেক্ষা করছিল আর কয়েকটা দিন। মাত্র ৬০ ‍বছর বয়সে কোটি ফুটবলভক্তকে কাঁদিয়ে অন্য পারের বাসিন্দা হলেন বাঁ পায়ে অসংখ্য মুহূর্তের জন্ম দেওয়া ফুটবল ঈশ্বর।