গোল মিসের মহড়ায় পয়েন্ট হারালো স্পেন

সুইডেনের সীমানায় স্পেনের একের পর এক আক্রমণ। কোকে-মোরাতারা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে তটস্থ করে রেখেছে গোটা ৯০ মিনিট। কিন্তু ফুটবল তো গোলের খেলা। সেই কাঙ্ক্ষিত গোলটাই কেবল মিললো না স্পেনের। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমনি ছিল দুর্ভাগ্যের পরম আপোষ! তাই পয়েন্ট হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হলো তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের। ঠিকঠাক রক্ষণ আগলে স্পেনকে গোলশূন্য ড্রতে রুখে দিয়েছে সুইডেন।

স্পেন সবশেষ ইউরো ফাইনাল খেলেছে ২০১২ সালে। এবারও ফেভারিটদের মধ্যে অন্যতম লুই এনরিকের দল। কিন্তু ইউরোর ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফেভারিটদের মতো পথ চলতে পারলো কই! ৮৫ ভাগ বল দখলে রেখে সুইডেনের সীমানায় গিয়ে তাদের গোলের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে।

সেভিয়ের মাঠে স্পেন ১৬ মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায়। সতীর্থের ভাসিয়ে দেওয়া বলে বক্সের ভেতরে ওলমোর হেড গোলকিপার বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। ২৩ মিনিটে কোকের শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। ৬ মিনিট পর কোকের আরও একটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট।

৩৮ মিনিটে জোর্দি আলবার লব থেকে মোরাতা গোলকিপারকে একা পেয়েও বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। এই অর্ধে সুইডেন প্রতিআক্রমণে উঠে ৪১ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু তাদের দুর্ভাগ্য! ইসাকের শট ইয়োরেন্তের পায়ে বাধা পেয়ে পোস্টে লেগে গোলকিপারের হাতে জমা পড়ে।

বিরতির পর স্পেন আরও ভয়ঙ্কর। বল দখলে রেখে কাঁপিয়ে দিয়েছে সুইডিশ রক্ষণভাগ। কিন্তু আবারও চলে গোল মিসের মহড়া। সুইডেনকে চেপে ধরে গোল করার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়, কিন্তু সফল হয়নি।

বিশেষ করে, শেষ দিকে তাদের কষ্টটা আরও বেশি। ৯০ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার ক্রস একেবারে গোলমুখ থেকে হেড করেও বল জালে জড়াতে পারেননি জেরার্দ মোরেনো। বল গোলকিপারের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। মিনিটখানেক পর আবারও হতাশ স্পেন ক্যাম্প। এবার জোর্দি আলবার ক্রস হাঁটুর ওপরে লাগিয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সারাবিয়া।

ফলে সুযোগ নষ্টের খেসারত হিসেবে পয়েন্ট হারিয়েছে স্পেন। অন্যদিকে তাদের রুখে দিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে সুইডেন।