ইংলিশ হয়েও ইতালিকে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ কোচ

১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর আর কোনও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ট্রফি জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। এমনকি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ট্রফি ছোঁয়া দূরত্বেও পৌঁছাতে পারেনি। দীর্ঘ ৫৫ বছর পর এবার ইউরোতে প্রথমবারের মতো ফাইনালের দেখা পেয়েছে কেইন-স্টার্লিংরা। আগামীকাল (রবিবার) বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে ইতালির বিপক্ষে জিততে পারলেই আনন্দ করার মতো আরও একটি উপলক্ষ পাবে ইংলিশরা। তবে তা যে সহজ হবে না বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডেও ফাইনালে নিজ দেশের চেয়ে ইতালিকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন!

আর তা রাখার কারণও আছে। রবার্তো মানচিনির হাত ধরে ইতালি নতুন রূপে ফুটবলে পা রেখেছে। ডিফেন্সিভ কৌশল ছেড়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে একের পর এক ম্যাচ জিতে চলেছে। ঠিক এই জায়গাতে ভয় জেমি ডের।

বাংলা ট্রিবিউনকে এই ইংলিশ কোচ বলেছেন, ‘মানচিনির অধীনে ইতালি ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত। এটা অনেক বড় বিষয়। একটি দলের আত্মবিশ্বাস তাহলে কোন জায়গায় আছে তা ধরেই নেওয়া যায়। তাই আমার কাছে মনে হয়, ইংল্যান্ডের চেয়ে ইতালি সবদিক দিয়ে একটু হলেও এগিয়ে আছে।’

বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান কোচ জেমি ডেইতালি যতই এগিয়ে থাকুক, ম্যাচটিতে যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে তা বলে দেওয়া যায়। ডেও তাই মানছেন, ‘ইতালির বিপক্ষে জিতে ট্রফি জিততে পারবে ইংল্যান্ড। তবে তা কঠিনই হবে। পেনাল্টিতে শুটআউটে যেতে পারে ম্যাচটি। সেখানে ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’

তবে ইংল্যান্ড ট্রফি জিততে না পারলেও কোনও আক্ষেপ থাকবে না ডের। যেভাবে দল ফাইনালে উঠেছে। তাতে খুশি না হয়ে পারছেন না বাংলাদেশ কেচ, ‘ইংল্যান্ড ভালো ফুটবল খেলে এই পর্যন্ত এসেছে। ফাইনাল যদি জিততে নাও পারে তাহলে কোনও দুঃখ থাকবে না। তবে আমরা জিততে পারি এই ম্যাচ। যদি জিতে যাই তাহলে বলতে পারবো আমরা ইউরোর একটা ট্রফি জিতেছিলাম। কেননা ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জেতার সময় তো আমাদের প্রজন্ম ছিল না। মনেও নেই।’