মেসি-নেইমারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেমন হবে?

কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। মারাকানা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচের আগে নানান হিসেব-নিকেষ হচ্ছে। কে জিতবে শতবছরের পুরনো এই প্রতিযোগিতা? সময়ের দুই বিশ্বসেরা মুখোমুখি হওয়াতেই এত আলোচনা। এক দলে লিওনেল মেসি, অন্য দলে নেইমার- দুজনের কেউই এখনও পর্যন্ত কোপার স্বাদ নিতে পারেননি। তাই দুজনেই চাইছেন কোপা জিতে স্মরণীয় হয়ে থাকতে।

অবশ্য তেমনটি হওয়ারই কথা। ফাইনালে নিজেদের দলকে আনার পেছনে মেসি বা নেইমারের অবদান কম নয়। দুজনেই দারুণ খেলছেন, গোল করছেন। আবার সতীর্থদের মাধ্যমে করিয়েও যাচ্ছেন। তবে ফাইনালের আগে সাফল্যের দিক নিয়ে আলোচনা করলে নেইমারের চেয়ে কিছুটা রয়েছেন মেসি-ই।

কোপাতে ফাইনালের আগে ৬ ম্যাচে চার গোল করেছেন মেসি। এর মধ্যে ফ্রি-কিক থেকে এসেছে দুটি। এছাড়া এসিস্টও আছে পাঁচটিতে। বিপরীতে নেইমার পাঁচ ম্যাচে দুই গোল করেছেন। এসিস্ট করেছেন তিনটি। দুজনেই যে দলের জন্য অপরিহার্য খেলোয়াড় তা এরই মধ্যে প্রমাণিত।

তাই ফাইনালে দুইদলের লড়াইয়ের আড়ালে দ্বৈরথটা থাকবে মেসি-নেইমারেরও। তবে ক্যারিয়ারে কোপার শিরোপা যেই জিতুক না কেন, তা হবে প্রথমবারের স্বাদ নেওয়া। তাই এই পর্যায়ে এসে কেউই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না।

নেইমার যেমন মেসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েও বলেছেন, ‘আমি সবসময় বলে থাকি আমার দেখা মেসি সেরা খেলোয়াড়। সে একজন ভালো বন্ধুও। এখন আমরা ফাইনালে। দুজনেই প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে আমি জিততে চাই। সত্যিকার অর্থে এই ট্রফি নিতে চাই। যা হবে আমার ক্যারিয়ারে প্রথম কোপা জয়।’

বার্সেলোনায় এক সঙ্গে খেলে দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সেই বন্ধুত্ব থাকবে না, দেখা যাবে বৈরিতা! আর্জেন্টাইন অধিনায়কও আভাস দিলেন এমনটা, ‘নেইমারকে ঘিরে ব্রাজিল কঠিন এক দল। আমরা জানি নেইমার কী করতে পারে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কেমন সেটাও জানি। তবে আমরাও ট্রফি জয়ের জন্য খেলবো।’ এখন দুজনের মধ্যে মাঠে যে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে- তা বলেই দেওয়া যায়!