পুনরাভিষেকে রোনালদোর জোড়া গোল

২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বলা যায় এই ক্লাবেই খেলেই বড় তারকা হয়েছেন তিনি। মাঝে রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসে খেলে আবারও চিরচেনা ম্যানইউতে-ই ফিরেছেন। আর ফিরেই আলো ছড়ালেন। ঘরে ফিরে প্রথম ম্যাচেই ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড পেলেন জোড়া গোল। তাতেই ম্যানইউ ৪-১ গোলে হারিয়ে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে। অন্য দুটি গোল ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও লিংগার্ডের। শনিবার অন্য ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি বার্নার্ডো সিলভার গোলে হারিয়েছে লেস্টার সিটিকে।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৪ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে। ম্যানচেস্টার সিটি ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। নিউক্যাসল সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে আছে। লেস্টার সিটি চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১০ম স্থানে।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে নতুন করে ফেরার ম্যাচে নিজের জাত চেনাতে ভুল করেননি রোনালদো। নিজেদের মাঠে গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে ছিলেন দুর্বার। বল দখলে এগিয়ে থেকে ম্যানইউ আক্রমণও করেছে একাধিক। কিন্তু উলে গানার সুলশারের দলকে প্রথম গোল পেতে অনেক সময় লেগেছে।

ম্যাচের ১৯ মিনিটে শো’র কর্নারে ভারানের হেড লক্ষ্যে যায়নি। ৩০ মিনিটে সানচো সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডেডলক ভাঙেন রোনালদো।

বক্সের বাইরে থেকে গ্রিনউডের শট গোলকিপার ঠিকমতো প্রতিহত করতে পারেননি। ফিরতি বলে সামনে থেকে রোনালদো আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন অনায়াসে।

বিরতির পর অবশ্য পাল্টাপাল্টি আক্রমণ হয়েছে। নিউক্যাসল রক্ষণ সামলে ফাঁকে ফাঁকে প্রতি আক্রমণ উঠে গোল করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। ৫৫ মিনিটে সফলও হয়েছে। সেন্ট ম্যাক্সমিনের পাসে আড়াআড়ি শটে গোল করেন জাবি ম্যানকুইলো।

ম্যানইউ তখনও দমে যায়নি। রোনালদো ছিলেন আবারও সুযোগের অপেক্ষায়। ৬২ মিনিটে লুকা শয়ের পাস থেকে বক্সে ঢুকে বা পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান এই ফরোয়ার্ড।

৬৭ মিনিটে জোয়েলিনটনের জোরালো শট গোলকিপার ডেভিড ডি গিয়া প্রতিহত করে নিউক্যাসলকে ম্যাচে সমতায় ফিরতে দেননি।

৮০ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় ম্যানইউ। ব্রুনো ফার্নান্দেজ বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে জাল কাঁপান। যোগ করা সময়ে লিংগার্ড চতুর্থ গোলটি করে নিউক্যাসলকে বড় ব্যবধানে হারাতে সাহায্য করেন। ম্যানইউতে ফেরার ম্যাচটি তাই রোনালদোর জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকলো।