নেইমার বলছেন, ২০২২ সালেই তার শেষ বিশ্বকাপ

বয়স তার ২৯। ২০২২ বিশ্বকাপের সময় ৩০ পেরিয়ে যাবেন নেইমার। সেই হিসাবে ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স দাঁড়াবে ৩৪ বছর। এই বয়সে পেশাদারি ফুটবলে অসংখ্য ফুটবলার সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে চলেছেন। সেখানে নেইমারের বিশ্বকাপ খেলতে না পারার কারণ থাকার কথা নয়। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ২০২২ সালেই নিজের শেষ বিশ্বকাপ দেখছেন। তার বিশ্বাস, কাতারেই শেষ সুযোগ অপেক্ষা করছে।

ফুটবল মহাযজ্ঞ জুন-জুলাইয়েই হয়ে থাকে। তবে এবারের আয়োজক কাতারের গরমের কথা চিন্তা করে ঐতিহ্য ভেঙে নভেম্বর-ডিসেম্বরে হাতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপেই নিজের শেষ দেখছেন নেইমার। পেশাদারি ফুটবলের কঠিন জীবনে শরীর ও মনের অবস্থা চার বছর পর ধরে রাখা সম্ভব কিনা, এই সংশয় যথেষ্ট রয়েছে নেইমারের মনে। তাই সামনের বিশ্বকাপকে শেষ ধরে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তিনি।

২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে তিন দেশে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। ওই বিশ্বকাপ খেলার আশা খুব একটা নেই নেইমারের। কাতারেই শেষ দেখছেন। ক্রীড়াবিষয়ক এক ডিভিও স্ট্রিমিংয়ের তথ্যচিত্রে ব্রাজিল তারকা বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটাই (২০২২ সালের কাতার) আমার শেষ বিশ্বকাপ। এটাকেই আমি শেষ হিসেবে দেখছি, কারণ আমি জানি না ফুটবলে পূর্ণ মনোযোগ রাখার মতো মানসিক সামর্থ্য আর থাকবে কিনা আমার।’

সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘তাই আমি আমার সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে দেবো আমার দেশের জয়ের জন্য, যেটা আমি সেই ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখে আসছি। এবং আমি আশা করছি আমি পারবো (বিশ্বকাপ জিততে)।’

দুটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে নেইমারের। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপের পর ২০১৮ সালে রাশিয়ার মহাযজ্ঞে খেলেছেন হলুদ জার্সিতে। প্রথমবার ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে হারের যন্ত্রণায় পুড়তে হয়েছিল। আর গতবার বিদায়ঘণ্টা বাজে কোয়ার্টার ফাইনালে। কাতার দিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপে নামার অপেক্ষায় প্যারিস সেন্ত জার্মেই ফরোয়ার্ড।

সেই যাত্রায় দুরন্তগতিতে এগিয়ে চলেছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা ৯ ম্যাচ জিতে মূল পর্বের দরজা দেখতে পাচ্ছে তারা।