বিমান বাহিনীকে জিততে দিলো না বারিধারা

ম্যাচ জিততে পারলে শেষ আটে পৌঁছানোর সুযোগ ছিল উত্তর বারিধারার। কিন্তু বিমান বাহিনী শুরুতে এগিয়ে যাওয়ায় পরে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।

প্রতিপক্ষ বিমান বাহিনীর বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তার পরেও এই ম্যাচে লিড নিয়ে তারা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। বিমানের সেই স্বপ্ন উবে যায় উজবেক ডিফেন্ডারের কারণে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে।

এর ফলে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে এই ম্যাচ ড্র করে ‘বি’ গ্রুপ থেকে বিমান বাহিনীর সঙ্গে ছিটকে গেলো বারিধারাও। আগেই শেষ আট নিশ্চিত করা শেখ রাসেলের সঙ্গী হয়েছে শেখ জামাল। গ্রুপে শেখ রাসেল দুই ম্যাচে ৬ ও শেখ জামাল ৪ পয়েন্ট পেয়েছে। তিন ম্যাচ শেষে উত্তর বারিধারা ২ ও বিমান বাহিনী সংগ্রহ করেছে এক পয়েন্ট।

কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উত্তর বারিধারা বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল। বিশেষ করে দলের উজবেকিস্তান মিডফিল্ডার ইভগেনি কোচনেভ মাঝ মাঠে বল জোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগও পায় তারা। কিন্তু যোগ্য ফিনিশারের অভাবে দলটি গোলের দেখা পায়নি। এরমধ্যে ৩২ মিনিটে সতীর্থের থ্রু থেকে অধিনায়ক সামিন ইয়াসার বুক দিয়ে বল নামিয়ে সোজা গোলকিপারের হাতে তুলে দিয়ে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছেন।

বিরতির পর খেলার ধারার বিপরীতে লিড নেয় বিমান বাহিনী। ৫০ মিনিটে নিজামউদ্দিনের ফ্রি-কিক উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার সাইদস্তন ফজিলভ ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। সঙ্গে থাকা জুয়েল মিয়া বল পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন।

এক গোলে পিছিয়ে থেকে উত্তর বারিধারা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করতে থাকে তারপর। কিন্তু সফল হচ্ছিল না। ৭৬ মিনিটে ইভজেনি কোচনেভের ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

অবশেষে ৮২ মিনিটে ভাগ্য ফেরে তাদের। পেনাল্টি পায় উত্তর বারিধারা। হাফিজুর রহমানের হাতে বল লাগলে রেফারি সোহরাব হোসেন পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সাইদস্তন ফজিলভ জোরালো শটে জাল কাঁপালে হার এড়ায় তারা। তাতে এক পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হয়েছে বিমান বাহিনীর।