‘আমরা কঠিন ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি’

রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই খুশির ফোয়ারা। পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস ও ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপুকে শূন্যে তুলে খেলোয়াড়দের আনন্দ শুরু। মাঠের মাঝে গোল হয়ে হাতে হাত ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ ছিল দেখার মতোই। আর এমন উৎসব তো তাদেরই মানায়। কঠিন ম্যাচ জিতেই ফেডারেশন কাপের ট্রফি জিতেছে আবাহনী লিমিটেড।

মারিও লেমসের অধীনে টানা দ্বিতীয় ট্রফি ঘরে তুলেছে আবাহনী লিমিটেড। তাই এই মুহূর্তে ৩৫ বছর বয়সী কোচের আনন্দটা একটু বেশিই। ম্যাচ শেষে উল্লাসের মাঝেই বললেন,‘নিয়মিত একাদশের চারজনকে আমরা পাইনি। এরমধ্যে রাফায়েল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তার অনুপস্থিতিতে আমরা প্রথমার্ধে ভুগেছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেলেছি। প্রথমার্ধে আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না, সে তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে নিয়ন্ত্রণ আরও বেশি ছিল। বলতে পারেন কঠিন ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’

এই শিরোপা তরুণ কোচের কাছে বিশেষ কিছু। লেমসের ভাষায়, ‘আমরা জানতাম রাফায়েল ও দোরিয়েন্তনকে পাবো না। তাই গোলের জন্য বক্সের কাছাকাছি কলিনদ্রেসকে খেলিয়েছি। এটা আসলেই কঠিন ম্যাচ ছিল। আমিও চাপ অনুভব করেছি। কখনও কখনও আপনি যদি শিরোপা না জেতেন, তাহলে নিজের প্রতিই আপনার সন্দেহ জাগবে। এই শিরোপা তাই আমার কাছে বিশেষ কিছু।’

ফাইনালে আরেক গোলদাতা রাকিব হোসেনও অনেক আনন্দিত। টানা দুটি ফাইনালে গোল পেলেন এই ফরোয়ার্ড। ট্রফি জিতে রাকিব বলেছেন, ‘টানা দুটি টুর্নামেন্ট জিতলাম। আমার কারিয়ারে এটা প্রথম। আমি খুব আনন্দিত। আমি ট্রফি জেতার জন্য এখানে এসেছি। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে গোল পেয়েছি। আজও  পেয়েছি। আমি গোল করতে চাই নিয়মিত। যে কোনও ফাইনাল ম্যাচে গোল করাটা খুব কঠিন। আমি সেটা করতে পেরেছি।’

এই ম্যাচে আগের চেয়ে বেশি দায়িত্ব ছিল রাকিবের কাঁধে। রাকিব নিজেই বলেছেন, ‘আজ  খেলতে নামার আগে কোচ বলেছে রাফায়েল নেই। দোরিয়েন্তন নেই। বলেছেন তোমার ওপর অনেক দায়িত্ব। আমি সেটা পেরেছি। কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পেরেছি। খুব ভালো লাগছে।’