বাংলাদেশ কোচের সাফল্য চাইছেন আর্জেন্টাইন কোচ

ডিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির অধীনে ২০০৫ সালে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স-আপ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পরের বছর চাকরি হারাতে হয়েছিল এই আর্জেন্টাইন কোচকে। এরপর আবাহনীর হয়ে ডাগ আউটে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোচ হয়ে এসেছেন ক্রুসিয়ানি। তার অধীনে দুটি টুর্নামেন্টও খেলেছে দলটি। নতুন করে বাংলাদেশের ফুটবল দেখার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তিনি বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে।

কাবরেরা মঙ্গলবার সাইফ স্পোর্টিংয়ের অনুশীলন দেখেছেন। সেখানে ক্রুসিয়ানির সঙ্গে একফাঁকে আলোচনাও হয়েছে তার। কী কথা হয়েছে, সেটি জানিয়েছেন ক্রুসিয়ানি, ‘আমি ইতিমধ্যে ওকে বলেছি, দেখতে থাকো। সবকিছু জানার চেষ্টা করো। আমি ওকে বলেছি, এখান থেকে ভালো কাউকে তুমি পাবেই। আমি তার সাফল্যও কামনা করেছি।’

এরপর ক্রুসিয়ানি বাংলাদেশ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে মনের অর্গল যেন খুলে দিয়েছেন। ২০০৫ সালে যেভাবে কোচিং করিয়েছেন তা থেকে এখন অনেক কিছুতে পরিবর্তন এসেছে। ক্রুসিয়ানির ভাষায়, ‘সারা বিশ্বেই ফুটবলের ধরন পাল্টে গেছে। আমি যখন বাংলাদেশের কোচ ছিলাম, তখনকার মতো ফুটবল খেলা এখন হয় না। এখন পুরো খেলাটাই গতির, ভিন্ন এক মাত্রায় চলে গেছে ফুটবল। এখন এই দেশে অসংখ্য বিদেশি কোচ আসছেন। তারা ভালো ধারণা রাখেন। এ দেশের ফুটবলে অনেক উন্নতি হয়েছে বলাই যায়, তবে আরও অনেক উন্নতির দরকার।’

ক্রুসিয়ানি মনে করছেন সাফল্য পেতে হলে তৃণমূলে গিয়ে কাজ করতে হবে। ফুটবলকে আগের মতো জনপ্রিয় করতে সবার সহযোগিতাও কাম্য বলে মনে করছেন তিনি, ‘তৃণমূলে যদি কাজ করা যায় সাফল্য আসবেই। অবকাঠামোও ভালো করতে হবে। কিন্তু এই দেশে ফুটবল আগের মতো জনপ্রিয় নয়, এটাই বড় সমস্যা। ফেডারেশন, ক্লাব, গণমাধ্যম- সবাইকেই একসঙ্গে ফুটবলকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা উচিত।’

গাম্বিয়াতে বাংলাদেশের সাবেক কোচ টম সেইন্টফিট সাফল্য পাচ্ছেন। ক্রুসিয়ানি মতে, আফ্রিকার দেশগুলো অনেক এগিয়ে আছে, ‘আমি আফ্রিকাতে কাজ করেছি। তাই তাদের সম্পর্কে জানি। আফ্রিকার ফুটবল বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে ৪০ বছর এগিয়ে। আফ্রিকার দলগুলো ভীষণ শক্তিশালী। আপনি কি মনে করেন ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতেছে? জিতিয়েছে সেখানকার আফ্রিকান ফুটবলাররা। আমি ফ্রান্সের সাফল্যকে খাটো করছি না। কিন্তু তাদের বেশিরভাগ ফুটবলার এসেছে আফ্রিকা থেকে। আফ্রিকানরা জিনগতভাবেই শক্তিশালী।’