‘অসম্মানই’ প্রেরণার উৎস কুর্তোয়ার

চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলটি জয় নির্ধারক তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু ফাইনালে গোলকিপার থিবো কুর্তোয়া না থাকলে কী যে হতো তাতো টের পেয়েছে রিয়াল সমর্থকেরাই। লিভারপুলের বিপক্ষে ৯টি সেভ করেছেন।

অবশ্য ২০০৩ সাল থেকে রেকর্ড ধরে রাখার কথা বিবেচনা করলে এই কীর্তি অবিশ্বাস্যও। তখন থেকে ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে কোনও গোলকিপারই এতগুলো সেভের কীর্তি গড়তে পারেননি! এমন অবিশ্বাস্য কীর্তির পেছনের রহস্যটা কী? রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপারের কথা থেকে বোঝা গেলো, ইংল্যান্ডে প্রাপ্য সম্মানটা পাননি বলেই সেটা তাকে ভালো করতে প্রেরণা জুগিয়েছে।

২০১৮ সালে চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলেছিলেন কুর্তোয়া। শেষ ষোলোতে বার্সেলোনার কাছে তাকে হজম করতে হয়েছিল ৩টি গোল। এর পর থেকে ভীষণ কটাক্ষের শিকার হতে হয় বেলজিয়াম গোলকিপারকে। গোল খাওয়ার ধরণ নিয়ে আক্রমণের শিকার হন সোশ্যাল মিডিয়াতেও। পরে যার ছাপ পাওয়া যায় ইংলিশ ম্যাগাজিন ফোর-ফোর টুতে। মার্চ সংস্করণে বিশ্বের সেরা ১০ গোলকিপারের তালিকায় জায়গা হয়নি তার নাম। কুর্তোয়া বিষয়টাকে অপমান হিসেবেই নিয়েছিলেন।

একই পরিস্থিতি দাঁড়ায় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগ দিয়েও। খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘যখন আমরা ফাইনাল খেলি, তখন চ্যাম্পিয়ন হই।’ কুর্তোয়ার এমন মন্তব্য অনেকে দম্ভোক্তি হিসেবে নিয়েছিলেন। যার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান অনেকে। কিন্তু বেলজিয়ান গোলকিপার সব কটাক্ষকে প্রেরণা বানিয়ে জবাব দিয়েছেন ফাইনালে।

ম্যাচের পর সব পরিষ্কার করেন তিনি, ‘মার্চে একটা ম্যাগাজিন বের হয়, যেখানে সেরা দশ গোলকিপারের তালিকায় আমাকে রাখা হয়নি। বিষয়টায় মনে হয়েছে প্রাপ্য সম্মান আমাকে দেওয়া হয়নি। বলছি না আমাকে এক নম্বরে রাখতে হতো। আলিসন বড় একজন গোলকিপার। মেন্ডি, ওব্লাক, এদেরসনও তাই। কিন্তু এরকম একটা মৌসুম যাওয়ার পরেও তারা আমাকে সেরা দশে রাখলো না। এটা অদ্ভূত লেগেছে আমার কাছে। দ্বিতীয়ত, গতকাল ইংল্যান্ড থেকে মজার অনেক কিছু ভেসে আসছিল।’

তাই নিজের ক্যারিয়ারের জন্যই এই ফাইনাল জেতাটা প্রয়োজন মনে করেছিলেন কুর্তোয়া, ‘নামের প্রতি সুবিচারের জন্য আমাকে একটা ফাইনাল জিততে হতো। কারণ আমার মনে হয়নি ইংল্যান্ডে প্রাপ্য সম্মানটা পেয়েছি।’