২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো ইউরো জিতেছিল পর্তুগাল। এবারও অনেক আশায় বুক বেঁধেছে তারা। বাছাইয়ে একমাত্র দল হিসেবে শতভাগ রেকর্ড ধরে রেখে এবার মূল পর্বে। ‘এফ’ গ্রুপে আজ রাত ১টায় দলটার প্রতিপক্ষ ১৯৯৬ সালের রানার্সআপ চেকপ্রজাতন্ত্র। তাদের আগে রাত ১০টায় জর্জিয়ার মুখোমুখি তুরস্ক।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো মহাতারকা থাকায় দলটার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তার ওপর আল নাসর তারকার সামনে ইতিহাসের হাতছানি! ষষ্ঠ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে নামছেন ৩৯ বছর বয়সী। ২০০৪ সালে অভিষেকের পর প্রতিটি আসরে গোল করেছেন। চলতি আসরেও গোল করলে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি বয়সী গোলস্কোরার হয়ে যাবেন। তাছাড়া টুর্নামেন্টটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (২৫), বেশি গোল (১৪) করার রেকর্ডটিও তারই।
রেডবুল অ্যারেনায় নিঃসন্দেহে বড় প্রভাবক হয়ে উঠবেন পর্তুগিজ যুবরাজ। তাকে নিয়ে বেশ সতর্ক দেখা গেলো চেক প্রজাতন্ত্র কোচ ইভান হাসেককে। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই হচ্ছে তার প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। সেই ম্যাচে রোনালদোকে নিষ্ক্রিয় রাখার পরিকল্পনা দলটির, ‘আমরা রোনালদোকে আটকে রাখতে চাই। রোনালদো বিশ্বের সেরাদের অন্যতম একজন। তার মতো একজনের মুখোমুখি হয়ে এমন কিছু করা প্রয়োজন, যেটা আমাদের ছেলেরা যেন আজীবন মনে রাখতে পারে।’
অবশ্য শুধু রোনালদোই পর্তুগিজ দলের ত্রাস নন। ম্যাচ জেতানোর মতো ক্ষমতা রাখেন ব্রুনো ফার্নান্দেস ও বের্নার্ডো সিলভাও। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তাদের দুজনের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে ওয়েস্ট হ্যামের হয়ে খেলা চেক অধিনায়ক টমাস সুসেকের। চেক অধিনায়ক এই দুজনকে নিয়েও ভীষণ সতর্ক, ‘সবাই প্রিমিয়ার লিগ দেখে। তাই তারা জানে এই দুজন কেমন খেলে থাকে।’
ইউরোতে আসার আগে আল নাসরের হয়ে ১০টি গোল করেছেন রোনালদো। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলের জয়ের দিনেও জোড়া গোল করেছেন। তাই এই ম্যাচে রোনালদোর ওপর অনেক ভরসা পর্তুগাল কোচ রবের্তো মার্টিনেজের, ‘সেই আসলে চূড়ান্ত মুভটা করে থাকে, রক্ষণকেও সুদৃঢ় করতে পারে। বিগত বছরগুলোতে খেলার ধারা পাল্টে দিয়েছে সে। জাতীয় দলে নিজের যোগ্যতায় আছে। তার হয়ে নম্বরগুলোই কথা বলে।’
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পর্তুগাল চেক প্রজাতন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছে চারবার। সবগুলোতেই জিতেছে পর্তুগিজরা। চেকের এক গোলের বিপরীতে তাদের গোল ১০টি। তাছাড়া সর্বশেষ ৩ ম্যাচেই রক্ষণ অক্ষত ছিল।