লিভারপুলকে হারিয়ে ৫৬ বছরের ট্রফি খরা ঘুচালো নিউক্যাসেল

চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে ছিল লিভারপুল। ফেভারিট হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউটে উঠেছিল তারা। কিন্তু শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে পিএসজির কাছে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছে। তবে সেই দুঃখ ভুলতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের বিপক্ষে লিগ কাপের ফাইনালে নেমেছিল তারা। কিন্তু সেখানেও হারের যন্ত্রণায় পুড়তে হলো। ২-১ গোলে গত আসরের চ্যাম্পিয়নদেরকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে নিউক্যাসেল। ৫৬ বছরের ট্রফি খরা ঘুচালো তারা।

গত মঙ্গলবার পিএসজির বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে হার দেখেছিল লিভারপুল। পাঁচ দিনের ব্যবধানে লিগ কাপেও হতাশায় ডুবতে হলো আর্নে স্লটের দলকে।

বল দখলে রাখায় লিভারপুলের ধারেকাছে ছিল না নিউক্যাসেল। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণে তারা ত্রাস ছড়িয়েছে অনবরত। লক্ষ্যে লিভারপুলের দুটি শটের বিপরীতে তারা রেখেছে ৬টি। আর গোলপ্রচেষ্টায় তারা শট নিয়েছে ১৭ বার, যেখানে লিভারপুলের ছিল সাতটি।

অতীত পরিসংখ্যান ছিল লিভারপুলের অনুকূলে। ২০১৫ সালের পর থেকে ১৭ ম্যাচ খেলে কখনও নিউক্যাসেলের কাছে তারা হারেনি। বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে তারা ষষ্ঠ দল নিউক্যাসেলের থেকেও ২৩ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে শীর্ষে।

কিন্তু সব হিসাব নিকাশ পাল্টে গেলো মাঠের খেলায়। স্থানীয় খেলোয়াড় ড্যান বার্ন ৪৫তম মিনিটে নিউক্যাসেলকে লিড এনে দেন। কর্নার থেকে হেডে জাল কাঁপান এই ডিফেন্ডার।

বিরতি থেকে ফেরার পর নিউক্যাসেল সমর্থকদের গর্জন মিলিয়ে না যেতেই আরেকটি গোল। সুইডিশ ফরোয়ার্ড আলেক্সান্দার আইজ্যাক ৫২তম মিনিটে জোরালো শটে লিভারপুল কিপার কাওমিন কেলেহারকে পরাস্ত করেন।

প্রিমিয়ার লিগ শীর্ষ দল লিভারপুল অবশেষে গোলের দেখা পায়। স্টপেজ টাইমে ফেডেরিকো চিয়েসা জালে বল জড়ান। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার, তাদের হয়ে গেছে। এডি হাওয়ির নিউক্যাসেল ৭০ বছর পর প্রথম ঘরোয়া ট্রফি জেতে।

এর আগে শেষবার তারা ট্রফি জিতেছিল ১৯৫৫ সালের এফএ কাপে। ওইবার ফাইনালে তারা হারিয়েছিল ম্যানসিটিকে।

অবশ্য শেষবার তারা কোনও মেজর ট্রফি জিতেছিল অর্ধশত বছরেরও বেশি আগে, ১৯৬৯ সালে ইন্টার সিটিজ ফেয়ার্স কাপে।