টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল 

ফাইনালের মতো মঞ্চে যেমন আবহ থাকা দরকার তার সবটাই ছিল। ছড়ায় উত্তেজনা। শুধু নির্ধারিত সময়ের খেলাতে আলাদা করা যায়নি কাউকে। খেলা শেষ হয় ২-২ সমতায়। ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও ব্যবধানে হেরফের হয়নি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে শেষ হাসি হেসেছে পর্তুগাল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে আবার নেশন্স লিগের শিরোপা জিতেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। তাতে প্রথম দল হিসেবে দুটি নেশন্স লিগ জয়ের কীর্তি গড়েছে পর্তুগাল। 

নির্ধারিত সময়ের খেলায় দলকে সমতায় ফেরান রোনালদো।৬০ মিনিট পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল স্পেন। পরের মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যা ছিল তার ১৩৮তম আন্তর্জাতিক গোল। 

তার পর খেলা শুটআউটে গড়ালে পর্তুগাল নির্ধারিত ৫টি স্পট কিকেই জাল কাঁপিয়েছে। শুধু ফরোয়ার্ড আলভারো মোরাতার মিসে কপাল পুড়েছে স্পেনের। 

২০২৩ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম গোলটি পেয়েছে। পর্তুগাল লাইন থেকে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে টোকা দিয়ে জাল কাঁপান মার্টিন জুবিমেন্ডি। অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এই অগ্রগামিতা। ৫ মিনিট বাদেই দূরের জালে নিচু কোনাকুনি শটে স্কোর ১-১ করেন নুনো মেন্ডেস। বিরতির আগে ৪৫ মিনিটে আবার স্পেনকে এগিয়ে দেন মিকেল ওয়ারজাবাল। 

লা রোহাদের এগিয়ে থাকার স্বস্তিটা দ্বিতীয়ার্ধে কেড়ে নেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। বলা যায় ম্যাচের ভাগ্যটাই নির্ধারণ করে দেন সুযোগ সন্ধানী এক গোলে। ৬১ মিনিটে মেন্ডেসের দিক বদলে যাওয়া ক্রস থেকে ক্লোজ রেঞ্জে ভলিতে জাল কাঁপাতে ভুল করেননি তিনি।

৪০ বছর বয়সী সিরিআর সেভেন ত্রাতা হওয়ার পরই ম্যাচ বাঁচাতে দৃঢ়তা দেখায় পর্তুগিজরা। তার পর শুটআউটে তাদের হয়ে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন গনকালো রামোস, ভিতিনহা, ব্রুনো, নুনো মেন্ডেস ও নেভেস। 

অবশ্য দলকে সমতা ফেরাতে পারলেও শেষটায় মাঠে থাকতে পারেননি সিআরসেভেন। অতিরিক্ত সময়ের আগে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে গেছেন। তবে মোরাতার স্পট কিক পর্তুগাল গোলকিপার ডিয়েগো কস্তা ঠেকিয়ে দেওয়ার পর রুবেন নেভেস যখন ভাগ্য নির্ধারণী শেষ স্পট কিক জালে পাঠান, তখন সাইড লাইনে থেকে রোনালদো মাঠের পাশে বসে পড়ে আনন্দ অশ্রুতে ভেঙে পড়েন।