রায়ের আগে ৮ খেলোয়াড়কে নিজেদের দাবি করলো শেখ জামাল

আদালতে বিচারাধীন আট খেলোয়াড়ের মালিকানা এখন নিজেদের দাবি করে বাফুফের কাছে চিঠি দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। আজ বুধবার বিকেলে যখন বাফুফে ভবনে চলছে জরুরি কমিটির সভা। তখনই ভবনে উপস্থিত হন শেখ জামালের ফুটবল চেয়ারম্যান সাবেক জাতীয় উইঙ্গার আশরাফ উদ্দীন আহমেদ চুন্নু ও ম্যানেজার সাবেক জাতীয় ডিফেন্ডার আব্দুল গাফফারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সরাসরি তারা চলে যান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের কক্ষে। সোহাগকে তারা বলেন, তারা আট খেলোয়াড়কে ফেরত নিতেই সেখানে এসেছেন। আর তাদের নিয়েই শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া স্বাধীনতা কাপে খেলবেন।
এরপর বাফুফে ভবনে অপেক্ষমান প্রচার মাধ্যমের মুখোমুখি হন তারা। এসময় চুন্নু বলেন, ‘আমরা মনে করি বাফুফের আবেদন খারিজ হওয়ার অর্থ হচ্ছে এই আট খেলোয়াড় এখন শেখ জামালের। বাফুফের উচিৎ এসব খেলোয়াড়কে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।’

তবে যখন তাদের প্রশ্ন করা হয় যে আদালত তো এখনও কোনও রায় দেননি। বাফুফের আবেদন ছিল পিটিশনটি স্থগিত করার জন্য, সেটি খারিজ হয়েছে। আর পিটিশন চলে গেচে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে, রবিবার এ মামলার শুনানি রয়েছে। তখন এ প্রসঙ্গে তারা কোনও উত্তর দিতে পারেননি।

বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার ধারানুসারে কোনও ক্লাব কোনও সমস্যা বা কোন্দল নিরসনে প্রাথমিকভাবে আদালতের দ্বারস্থ হবে না। ফেডারেশন হয়ে ফিফার কাছে যাবে। বাফুফের গঠনতন্ত্রেও একই কথা বলা হয়েছে; তবুও কেনও তারা আদালতের শরণাপন্ন হলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে চুন্নু বলেন, ‘যেহেতু এটি সময়ের ব্যাপার, তাই আমরা আদালতে গিয়েছি। আর এটাতো বেআইনি কিছু নয়।’

তবে রিট পিটিশন কেনও ২৮ মার্চ করা হলো। ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে বাংলাদেশের খেলা শেষের পর কেনও রিট পিটিশন করা হলো না এমন প্রশ্নের উত্তরে চুন্নু বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বাফুফে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে। কিন্তু তারা তা নেয়নি বলেই আমরা আদালতে গিয়েছি।’

/আরএম/এফআইআর/