মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে দিল চট্টগ্রাম আবাহনী

শেখ জামালের মামলার কারণে মাঠে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে নামতে পারেননি মামুনুল ইসলাম, ইয়ামিন মুন্না, রায়হান হাসান, সোহেল রানা ও নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। প্রথম একাদশের পাঁচ জন খেলোয়াড়কে ছাড়া মাঠে নেমে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে দিল চট্টগ্রাম আবাহনী। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কেএফসি স্বাধীনতা কাপে ‘ক’ গ্রুপের এ ম্যাচে আগাগোড়া চট্টগ্রাম আবাহনীই ছিল শ্রেয়তর দল, শেষ পযর্ন্ত জয়ের হাসি হাসে তারা।  
চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক জাহিদ হোসেন ২৬ মিনিটে পেয়েছিলেন গোলের প্রথম সুযোগটি। হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্যাব্রিচ নোয়েলের সঙ্গে ওয়ান-টু করে জাহিদ চমৎকার ভাবে ভেদ করেন মুক্তিযোদ্ধা ডিফেন্স। ছোট বক্সের ওপর থেকে বাম পায়ে বেশি পাওয়ার দেওয়ার কারণে বল উপরে উঠে সাউড পোস্টে আঘাত করে ফিরে আসে মাঠে।
তবে ২৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় চট্টগ্রাম আবাহনী আর তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি মরক্কোর ফরোয়ার্ড তারিক আল জানাবি। মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক মামুন খান বক্সের মাঝে প্রতিপক্ষ উইঙ্গার শরিফুল ইসলামকে টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি জসিমউদ্দিন, তারিক আল জানাবির শটে বিভ্রান্ত হন মামুন। ডান দিকে মারার ভান করে বাম দিকে মারেন জানাবি; গোল উদযাপনে মেতে ওঠে চট্টগ্রাম আবাহনী।

প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে  ক্রসপিসের সুবাদে গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে তার বাম পায়ের ফ্রি-কিকটি আবাহনী গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে পরাস্ত করলেও ক্রসপোস্টে আঘাত হানে।এরপর আবাহনী ডিফেন্ডাররা তা বিপদমুক্ত করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও ক্রসপিসে বল, তবে এবার গোল বঞ্চিত চট্টগ্রাম আবাহনী। ৪৮ মিনিটে তারিক আল জানাবি কর্নার থেকে বল বাতাসে না ভাসিয়ে ঠেলে দেন কাছে দাঁড়ানো রুবেল মিয়ার কাছে। রুবেল জোরালো শট নেন কিন্তু তা ক্রসপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। 

৭৫ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর জয় নিশ্চিত হয়ে যায় হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড নোয়েল ফেব্রিচের গোলে। জাহিদ বল নিয়ে উঠে আসেন মাঝমাঠ থেকে, অন্যপ্রান্তে তখন দৌড়াচ্ছেন ফেব্রিচ। জাহিদের থ্রু পাসটি ছিল মাপা, ফেব্রিচ বল পোস্টে ঠেলতে ভুল করেননি। এরপর আর কোনও গোল হয়নি।

/আরএম/এফআইআর/