গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে আবাহনী

সেমিতে আবাহনীমোহামেডানকে ৪-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মার্সেল ক্লাব কাপ হকির সেমিফাইনালে পৌঁছেছে আবাহনী। দীর্ঘ তিন বছর পর হকিতে অনুষ্ঠিত হলো আবাহনী-মোডামেডান দ্বৈরথ। যেখানে শেষ হাসি হাসলো আবাহনী। হকি ফেডারেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোহামেডানের নেতৃত্ব মোট পাঁচটি ক্লাব দুই মৌসুম খেলা থেকে বিরত থাকায় গত তিন বছরে দল দুটো মুখোমুখি হয়নি। 

শুক্রবার প্রথম সেমিফাইনালে খেলবে ঊষা ও মোহামেডান। শনিবার দ্বিতীয় সেমিতে লড়বে আবাহনী ও মেরিনার্স।

আজ মওলানা ভাসানি জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত 'খ' গ্রুপের শেষ খেলায় চার পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে নিয়ে মাঠে নেমে আবাহনী তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে।মোহামেডানের পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হওয়ায় মাঠে নামতে পারেননি। খেলার চিত্রটা হয়তো ভিন্ন হতে পারতো যদি তিন মিনিটে মিডফিল্ডার কামরুজ্জামান রানার পাওয়ার হিটে কানেক্ট করতে পারতেন মোহামেডানের তারকা ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমি। পোস্টেও খুব কাছ থেকে তিনি বলের লাইন মিস করেন।

গোল করতে না পারার খেসারত দিয়ে ষষ্ঠ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে মোহামেডান। ডানপ্রান্ত দিয়ে দ্রুতগতিতে বল নিয়ে মোহামেডান বক্সের কাছে চলে আসেন মিডফিল্ডার রোম্মান সরকার। নেন জোরের ওপর একটি কোনাকুনি হিট। অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড মাকসুদ আলম হাবুল অনুসরণ করছিলেন রোম্মানকে। ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে তিনি জায়গা বের করে নেন। স্টিকের মোচড়ে বল পাঠিযে দেন পোস্টে।

দুই মিনিট পর আবারও গোল করে আবাহনী। এবারও উৎস রোম্মান সরকারের পাওয়ার হিট। তবে এবার বল রিসিভ করেন পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড শাফকাত রাসুল। বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ঠাণ্ডা মাথায় পুশ করে দলকে উপহার দেন দ্বিতীয় গোলটি।

হতবিহ্বল মোহামেডানের ওপর আবারও ঝড় বয়ে যায় ১১ মিনিটে। আবারও গোল করেন মাকসুদ আলম হাবুল। মোহামেডান ডিফেন্সের ভুল ছিল অবশ্য। কারণ তারা মশিউর রহমার বিপ্লবের হিটটি ফেরাতে পারেননি, ফলে বল পেয়ে যান হাবুল। কোনাকুনি পুশে আবাহনীকে এনে দেন তিন গোলের অগ্রগামিতা।

মোহামেডানের আক্রমণের মূল উৎস ছিলেন মিডফিল্ডার কামরুজ্জামান রানা। ২৬ মিনিটে তার তৈরি করা বলে নেওয়া দ্বীন ইসলামের হিট সাইড পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। আরেকবার ডিফেন্ডার চন্দনের করা পেনাল্টি কর্নার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে বাঁচান আবাহনী গোলরক্ষক অসিম গোপ।

বিরতির পর ব্যবধান কমান মোহামেডানের ফরোয়ার্ড রুবেল হোসেন ৪৫ মিনিটে করা ফিল্ড গোলে ম্যাচে ফিরতে চলেছিল মোহামেডান। কিন্তু ৬১ মিনিটে দলের চতুর্থ গোলটি করেন রোম্মান সরকার। খেলা শেষের এক মিনিট আগে দ্বীন ইসলাম করেন মোহমেডানের দ্বিতীয় গোলটি।

/আরএম/এমআর/