ফুলেল শ্রদ্ধায় চিরবিদায় খাজা রহমতউল্লাহর

খাজা রহমতউল্লাহর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সেলিনা হায়াৎ আইভীঅশ্রুসিক্ত নয়নে ফুলেল শ্রদ্ধায় চিরবিদায় নিলেন ক্রীড়া সংগঠক ও জাতীয় হকি দলের সাবেক খেলোয়াড় খাজা রহমতউল্লাহ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে, সেখানেই মারা যান সাবেক এই হকি তারকা।

খাজা রহমতউল্লাহর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে নারায়ণগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনে। বুধবার সকাল ১০টায় তার প্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনীতে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজা হয় নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি জামে মসজিদে।

তার মরদেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ’র নেতৃবৃন্দ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস  ক্লাব, খেলাঘর, সাংস্কৃতিক জোটসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও  সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জানাজা শেষে পাইকপাড়া বড় কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

খাজা রহমতউল্লাহ এক সময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৭ সালে উদিতি ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে ক্যারিয়ার শুরু খাজা রহমতউল্লাহ ১৯৭৮ সালে যোগ দেন সাধারণ বীমায়। পরের বছর সাধারণ বীমাকে প্রথম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন করান। ১৯৮৫ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দেওয়ার এক বছর পর নাম লেখান আবাহনীতে। এরপর ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিতে টানা খেলে ১৯৯৫ সালে আবাহনীতেই শেষ করেন খেলোয়াড়ি জীবন। ১৯৮৬ সালে সিউল অলিম্পিকের পর এশিয়ান একাদশে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। যদিও ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি তার।

বর্ণিল খেলোয়াড়ি জীবনে হকির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন সংগঠক হিসেবে। শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন হকির সঙ্গেই। দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর মৃত্যুর আগে সহ-সভাপতি পদে ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনে।