টুর্নামেন্টে একমাত্র বাংলাদেশি আম্পায়ার শাহবাজকে মিয়ানমারে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। যদিও যাওয়ার আগে শঙ্কা ছিল তার মনে। ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসার কারণে ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে কোনও ঝামেলায় পড়তে হয় কিনা, তা নিয়েও সংশয়ে ছিলেন। তবে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া ঘুরে মিয়ানমারের মাটিতে পা রেখেছেন নির্বিঘ্নে।
মিয়ানমার সফরের অভিজ্ঞতা বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন শাহবাজ। বললেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে মিয়ানমারে যাওয়া নিয়ে কিছুটা দোটানায় ছিলাম। ওখানে গেলে কী হয়, এ নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। এশিয়ান হকি ফেডারেশনের প্রতিযোগিতা, তাই অ্যাসাইমেন্ট পেয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ঢাকা থেকেই মনে শঙ্কা ছিল, ইয়াঙ্গুনে গিয়ে যা অনেক বেড়ে যায়। এয়ারপোর্টে অবশ্য কোনও সমস্যা হয়নি। মিয়ানমার হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।’
স্বাগতিক মিয়ানমার, হংকং, ব্রুনেই আর চাইনিজ তাইপেকে নিয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্টে শাহবাজের আম্পায়ারিংয়ের প্রশংসা করেছেন অনেকে। বেশ কিছু মজার অভিজ্ঞতাও হয়েছে তার, ‘হংকং দলে ভীষণ কড়াকড়ি নিয়ম। ম্যাচে কোনও খেলোয়াড় কার্ড দেখলেই তার শাস্তি হয়। সবুজ কার্ড ২০০ আর হলুদ কার্ড দেখলে ৩০০ হংকং ডলার জরিমানা দিতে হয়। লাল কার্ড দেখলে তো এক বছরের জন্য সাসপেন্ড! ব্রুনেই দলের গোলরক্ষক ওসমান রিজওয়ানের বয়স ৫৫ বছর! এয়ারলাইন্সে কাজ করা রিজওয়ানকে এই বয়সেও খেলতে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি।’