হকির ৫ কর্মকর্তার শাস্তি

মোহামেডান-মেরিনার্স ম্যাচের মাঝপথে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসছেন দুই বিদেশি আম্পায়ারগত ৭ জুন প্রিমিয়ার হকি লিগের সুপার ফাইভের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান ও মেরিনার্স। সেদিন মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শেষ হতে পারেনি ম্যাচটি। দুই দলের চার কর্মকর্তার অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং হকি ফেডারেশনের এক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতাই তার কারণ। সোমবার নির্বাহী কমিটির সভায় পাঁচ জনকেই শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন।

মোহামেডানে কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রিন্স ও ম্যানেজার আসাদুজ্জামান চন্দন পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক হাসানউল্লাহ খান রানার শাস্তিও পাঁচ বছরের। পাশাপাশি তিন জনেরই জরিমানা হয়েছে এক লাখ টাকা। জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করলে শাস্তি বেড়ে যাবে দুই বছর। মেরিনার্সের আরেক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম তিন বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তি পেয়েছেন। আর টেকনিক্যাল কর্মকর্তা নাজিউর রহমানকে ফেডারেশনের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তিন বছরের জন্য।

সভা শেষে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক জানিয়েছেন, ‘বাইলজ অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ আছে। আম্পায়ারকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, গালিগালাজ করেছেন তারা।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি চারজন আগেও শাস্তি পেয়েছে। এরা শুধু হকি অঙ্গনের নয়, দেশের সুনামও নষ্ট করছে। সেই ম্যাচের আম্পায়াররা আন্তর্জাতিক সংস্থায় অভিযোগ করলে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনকে হয়তো শাস্তি পেতে হতো। আমাদের ভাগ্য ভালো যে তারা সেটা করেননি।’

শাস্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক হাসানউল্লাহ খান রানা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমি সেদিন মাঠের ভেতরে যাইনি, গ্যালারিতে বসেছিলাম। সেই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বুঝতে পারছি না আমাকে কেন শাস্তি দেওয়া হলো।’ 

এদিকে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হয়েছে ঊষা ক্রীড়া চক্রের। এবারের লিগে অংশ না নেওয়ায় ঊষাকে এই শাস্তি দিয়েছে ফেডারেশন।