শেষ মুহূর্তের গোলে হার দেখলো সাকিব-শাহবাজের পদ্মা

কার্ড দেখে রাসেল মাহমুদ জিমি সাইড লাইনে চলে যান। সেখান থেকে রাগ-ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। সেই সঙ্গে শঙ্কাও। ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্রয়ের দিকে যাচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে সোহানুর রহমান সবুজের গোলে ১ পয়েন্টও নেওয়া হলো না সাকিব আল হাসান-শাহবাজ আহমেদের মোনার্ক পদ্মার। আগের ম্যাচে প্রথম জয় পেয়ে উজ্জীবিত ছিল  জিমি-পিন্টুরা। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ হকির চতুর্থ ম্যাচে এসে রূপায়ন সিটি কুমিল্লার কাছে ৪-৩ গোলে হেরে তিক্ত স্বাদ নিতে হয়েছে।

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ার্টারে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ২২ মিনিটে এগিয়ে যায় রূপায়ণ সিটি কুমিল্লা। প্রদিপ মোরের হিট থেকে দিক পরিবর্তন করে দেন মিলন হোসেন। গোলমুখ থেকে তাতে ফ্লিক করে গোল করেন পুস্কর খীসা মিমো।

পরের মিনিটেই ২-০ করেন ওবায়দুল হাসান জয়। তবে সেই গোলে বড় অবদান কিম সুং ইয়বের। শুটিং সার্কেল থেকে এই জাপানির হিটে শেষ মুহূর্তে স্টিক ছুঁয়ে গোল করেন তরুণ ফরোয়ার্ড জয়।

২৭ মিনিটে মোনার্ক পদ্মার হয়ে ব্যবধান কমান কৃষ্ণ কুমার। আল নাহিয়ান শুভ কাউন্টার অ্যাটাক থেক শুটিং সার্কেলে ঢুকে আড়াআড়ি হিট করেন। তাতে ফ্লিক করে গোল করেন  কৃষ্ণ।

৩৮ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগিয়ে স্কোরলাইন ৩-১ করে রূপায়ণ সিটি কুমিল্লা। মিলনের পুশে সারোয়ার থামানোর পর তাতে সোহানুর রহমান সবুজের ড্র্যাগ অ্যান্ড ফ্লিক পোস্টে জায়গা করে নেয়।

৪২ মিনিটে ব্যবধান কমায় মোনার্ক পদ্মা। প্রথম পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন জাপানিজ মিয়া তানিমিতসু।

পরের মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে জিমির পাসে ফাঁকায় থাকা সি জং লক্ষ্যভেদ করেন।

শেষের দিকে এসে ম্যাচ আরও জমে ওঠে। ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে ড্র্যাগ অ্যান্ড ফ্লিকে জয়সূচক গোল করেন সোহানুর রহমান সবুজ। তবে মোনার্ক পদ্মা পেনাল্টি কর্নার পেয়েও সমতায় ফিরতে পারেনি। 

একই মাঠে দিনের অন্য ম্যাচে একমি চট্টগ্রাম ৩-১ গোলে হারিয়েছে ওয়ালটন ঢাকাকে।