ভারতীয় ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে একমি চট্টগ্রামের জয়

হকি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুরু থেকে স্টিক ওয়ার্ক দেখিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় ফরোয়ার্ড দেভিন্দার বাল্মিকি। আজও (মঙ্গলবার) দেখালেন স্টিকের জাদু। বাল্মিকির নৈপুণ্যে একমি চট্টগ্রাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ ম্যাচে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রূপায়ন সিটি কুমিল্লাকে।

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ম্যাচ ঘড়ির ৭ মিনিটে একমি চট্টগ্রাম এগিয়ে যায়। দেভিন্দার বাল্মিকির অসাধারণ স্টিক ওয়ার্কের পর অভিজ্ঞ হাসান যুবায়ের নিলয়ের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে লিড নেয় চট্টগ্রাম।

এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচে ফেরার দারুণ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হয় কুমিল্লার। ১৩ মিনিটে কিম সুং ইয়োবের নেওয়া প্রথম পেনাল্টি কর্নার শেষ মুহূর্তে ঠেকিয়ে চট্টগ্রামের লিড ধরে রাখেন গোলকিপার সজিবুর রহমান।

চার মিনিট পর সবুজের পেনাল্টি কর্নার থেকে নেওয়া হিট আবারও ব্যর্থ করে দেন একমি চট্টগ্রামের গোলকিপার। ২৬ মিনিটে কেলারম্যানের পেনাল্টি স্ট্রোক সাইড পোস্টে লাগলে ব্যবধান বাড়েনি চট্টগ্রামের। দুই মিনিট পর দেভিন্দার বাল্মিকির রিভার্স হিট পোস্টে বাধাপ্রাপ্ত হয়।

তবে ৩০ মিনিটে ফরহাদ আহমেদ শিতুলের সার্কেলের বাইরে থেকে নেওয়া হিটে স্টিক ছুঁয়ে অসাধারণ গোল করেন দেভিন্দার বাল্মিকি ২-০। লিগের সর্বোচ্চ ১০ গোল এই ভারতীয় খেলোয়াড়ের।

দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে পিসি কাজে লাগিয়ে ব্যবধান কমায় রূপায়ণ সিটি। মিলনের পুশে সারোয়ার থামালে সোহানুর রহমান সবুজ গোলে স্কোরলাইন ২-১।

৪২ মিনিটে বাল্মিকির অসাধারণ রিভার্স হিটে স্কোরলাইন ৩-১ করে একমি চট্টগ্রাম। ৫৬ মিনিটে  মিলনের পুশে সারোয়ার থামালে সবুজ ফ্লিক না করে মিলনকে ফিরিয়ে দেন। সেখানে থেকে হিট জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড । তাতেই ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত হয়।

একমি চট্টগ্রাম ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়েছে।  এক ম্যাচ কম খেলে রূপায়নের পয়েন্ট  ১৩।

এদিকে দিনের অন্য ম্যাচে মোনার্ক পদ্মা ২-০ গোলে ওয়ালটন ঢাকাকে হারায়।