কমনওয়েলথ শুটিংয়ে সোনাজয়ী সাদিয়া অগ্নিদগ্ধ

সাদিয়া সুলতানাহারিয়েই গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের বাংলাদেশ গেমসে সোনা জেতার পর সৈয়দা সাদিয়া সুলতানাকে আর পাওয়া যায়নি শুটিংয়ে। দীর্ঘ চার বছর পর কমনওয়েলথ শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপের সোনাজয়ীকে পাওয়া গেল এক দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে। আগুনে শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে চট্টগ্রামের এই শুটারের। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।

সাদিয়ার ভাই সৈয়দ সাজ্জাদ খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলা ট্রিবিউনকে। তিনি জানিয়েছেন, রান্না করতে গিয়ে শরীরে আগুন লাগে সাদিয়ার। ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে শুক্রবার রাতে ভর্তি হওয়া সাদিয়ার অবস্থা জানাতে গিয়ে সাজ্জাদ বলেছেন, ‘অবস্থা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে।’ দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘চুলা থেকে আগুন লাগে তার ওড়নায়। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বাঁ অংশে।’

ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসাইন ইমাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘তার (সাদিয়া) গলা, বুক ও হাত মিলিয়ে ২৫ শতাংশের মতো পুড়ে গিয়েছে।’ সাদিয়ার অবস্থা জানাতে গিয়ে সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। কাল (রবিবার) ড্রেসিংয়ের পর জানা যাবে অবস্থা কতটা গুরুতর।’

আগুনের ঘটনাটা ১৫ অক্টোবরের। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকা সাদিয়াকে ভর্তি করা হয়েছিল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এই শুটারকে পাঠানো হয় ঢাকায়। সাজ্জাদ জানিয়েছেন, সোমবার অস্ত্রোপচার করা হবে তার।

২০১০ সালের কমনওয়েলথ শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতেছিলেন সৈয়দা সাদিয়া সুলতানা। দলগত ইভেন্টে দিল্লির আসর থেকে সোনা জিতেছিলেন তিনি শারমিন আক্তার রক্তার সঙ্গে জুটি গড়ে। তার আগে ওই বছরই এসএ গেমসেও সোনা জিতেছিলেন তিনি একই ইভেন্টে। এরপর ২০১৩ সালে সবশেষ ১০ মিটার এয়ার রাইফেল থেকে সাফল্য পান বাংলাদেশ গেমসে।

এরপর থেকেই শুটিংয়ের বাইরে সাদিয়া। গত চার বছর তিনি একেবারে আড়ালেই ছিলেন খেলার দুনিয়া থেকে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তিনি অসুস্থ। যদিও শুটিং থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণটা রহস্যই থেকে গেছে। সেই রহস্যের মধ্যেই শনিবার হঠাৎ করে জানা যায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি কমনওয়েলথ শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপের এই সোনাজয়ী।