বিকেএসপির ট্রায়ালেও ক্রিকেটের ‘জোয়ার’

চলছে বিকেএসপির খেলোয়াড় বাছাই কার্যক্রম। ছবি-ফেসবুকদীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় খুঁজে এনে দীর্ঘমেয়াদে তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ( বিকেএসপি)। ২০১৯ সালের জন্য বেশ আগেই এই কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রিকেট এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ ক্রিকেটার হতে আগ্রহী। বিকেএসপির ট্রায়ালেও বেশিরভাগের পছন্দের তালিকায় ছিল ক্রিকেট।

৪ থেকে ২২ মার্চ সারা দেশে একযোগে হয়েছে এই কার্যক্রম। চারটি দলে ভাগ হয়ে কোচরা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বাছাই করেছেন ছেলে-মেয়েদের।

জাতীয় হকি দলের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার এবং বিকেএসপির কোচ মওদুদুর রহমান শুভ ঘুরে বেড়িয়েছেন সারা দেশে। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বললেন, ‘দেশে এখন ক্রিকেটের জোয়ার চলছে, প্রায় সবাই ক্রিকেটার হতে চায়। শতকরা ৮০ ভাগ ছেলে ক্রিকেটের জন্য পরীক্ষা দিয়েছে। যে ছেলে জীবনে কখনও ক্রিকেট খেলেনি, সে-ও ক্রিকেট ট্রায়ালের লাইনে দাঁড়িয়েছে।’

ক্রিকেটের প্রতি এত আগ্রহের কারণে অন্য খেলার জন্য খেলোয়াড় পেতে সমস্যা হয়েছে কোচদের।  শুভ জানালেন, ‘ক্রিকেট ছাড়া অন্য খেলায় কম সাড়া পেয়েছি আমরা। এটা আমাদের জন্য মোটেও ভালো কথা নয়। খেলোয়াড় সংখ্যা বেশি হলে বাছাই করতে সুবিধা হয়। ধরুন একটি খেলার জন্য আমাদের প্রয়োজন ৫০ জন। কিন্তু অনেক সময়ই তা পাওয়া যায় না। কিংবা পেলেও দেখা যায় তাদের মান তেমন ভালো নয়। তখন  কোটা পূরণের জন্য তাদের নিতে হয়। তাই অন্য খেলাগুলোর পারিশ্রমিক বাড়ানো প্রয়োজন। মিডিয়ারও এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। পারিশ্রমিক ভালো হলে উদীয়মান খেলোয়াড় পাওয়া কঠিন হবে না।’

তিনি আরও বললেন, ‘একজন ক্রিকেটার হতে এসে দেখলো ক্রিকেট কোটা শেষ। তখন পছন্দ হলে তাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে অন্য খেলায় ভর্তি করানো হয়। এভাবেই চলছে বিকেএসপি। তবে কোনও ডিসিপ্লিনে ছাত্র-ছাত্রীর অভাব হয় না আমাদের, কোনও না কোনোভাবে কোটা পূরণ হয়ে যায়।’

বিকেএসপিতে ভর্তি শুরু হয় সপ্তম শ্রেণি থেকে। তবে সাঁতার, বক্সিং, জিমন্যাসটিকস ও টেনিসে ভর্তি হওয়া যায় চতুর্থ শ্রেণিতে। প্রতি বছরের মতো এবারও এক হাজার জন বাছাই করা হয়েছে। এক মাস প্রশিক্ষণের পর এদের থেকে বেছে নেওয়া হবে ৪০০ জনকে। তাদের দুই মাস প্রশিক্ষণের পর আগামী ডিসেম্বরে হবে চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা।