কোরিয়ান কোচকে নিয়ে সাঁতারুদের উচ্ছ্বাস

সাঁতারের দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক তে গুনগুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন সাঁতারের দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক তে গুন। বাংলাদেশের জন্য সুখবর, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। পার্কের সঙ্গে এক বছর চুক্তি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন। ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তে তারকা সাঁতারুরা উচ্ছ্বসিত।

কোরিয়ান কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাঁতারের মরা গাঙে যেন বান এসেছে। দেশের ৬৪ জেলা সফর করে অর্ধ শতাধিক সাঁতারুকে বাছাই করেছেন পার্ক। প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচীর আওতায় তাদের দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি জাতীয় দলের সাঁতারুদের প্রশিক্ষণও চলছে।

পার্ক দায়িত্ব নেওয়ার আগে অনেক সাঁতারুই পরিপূর্ণ অনুশীলনের সুযোগ পাননি। তারা তাই কোরিয়ান কোচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ২০০৬ কলম্বো এসএ গেমসে ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে স্বর্ণপদক জয়ী শাহজাহান আলী রনি সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন পার্কের। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বললেন, ‘শুনলাম পার্কের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এটা হলে ভালোই হয়। উনি অনেক দিন ধরে আছেন, তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এমন কোচ আমরা আগে কখনও পাইনি। তাকে পেয়ে আমরা সবাই উপকৃত হচ্ছি।’

২০১৬ সালে ভারতের শিলং-গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণপদক জয়ী মাহফুজা আক্তার শীলাও দারুণ খুশি, ‘পার্ক তে গুনের অধীনে এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণপদক জিতেছি। তার কাছ থেকে সাঁতারের অনেক কলা-কৌশল শিখেছি। তিনি থাকলে সাঁতারুদেরই লাভ। সামনে আমাদের অনেক ইভেন্ট আছে। আশা করি, তার অধীনে সে সব ইভেন্টে আমরা ভালো করতে পারবো।’

২০১০ এসএ গেমসে রুপা জয়ী মাহফিজুর রহমান সাগর কিছু দিন আগে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন থাইল্যান্ডে। এখন তিনি এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। কোরিয়ান কোচকে নিয়ে তার মন্তব্য, ‘পার্কের অনুশীলনের ধরন উন্নত। তার কাছ থেকে অনেক টেকনিক শিখতে পারছি। তিনি আরও এক বছর থাকলে আমাদের সবারই উন্নতি হবে। তার কোচিংয়ে সামনের একাধিক প্রতিযোগিতায় আমাদের ভালো করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা।’