নারী ভারোত্তোলককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

123যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে এক নারী ভারোত্তোলক এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। অভিযুক্ত সোহাগ আলীর শাস্তির দাবি জানিয়ে ভারোত্তোলন ফেডারেশনে চিঠি দিয়েছে মেয়েটির পরিবার।

জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করেন ভারোত্তোলন ফেডারেশনের অফিস সহকারী সোহাগ আলী। ঘটনার পর থেকে লজ্জায়-ভয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন সেই ভারোত্তোলক। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গত ২৩ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এখনও তিনি সুস্থ হতে পারেননি।

মেয়েটির পরিবার এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়েটির এক মামা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমার ভাগ্নীর ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে সোহাগ আলী। আমার ভাগ্নী বার বার তার নামই বলছে। সে এখন মানসিকভাবে অসুস্থ। যে কোনও পুরুষ মানুষ দেখলেই ভয় পাচ্ছে। আমরা বিচার চাই, তাই সোহাগ আলীর শাস্তি চেয়ে ফেডারেশনের কাছে চিঠি দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার ভাগ্নী গরীব ঘরের মেয়ে। আমাদের টাকা-পয়সা নেই, তাই আইনি লড়াইয়ে নামতে পারছি না। বিচার পাওয়ার আশাও করছি না। মেয়েটা কোনও মতো হাসপাতালে আছে। ওর নাম-পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়লে আমাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। আমরা ভীষণ সমস্যার মধ্যে আছি।’

এ বিষয়ে জানতে অনেক চেষ্টা করেও সোহাগ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
অভিযুক্ত সোহাগ আলীকে অফিস সহকারী বলতে নারাজ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ। তার কথা, ‘সোহাগ আলী একজন ভারোত্তোলক। তবে ফেডারেশনের কিছু কাজ করে দেয়। সে এমন কিছু করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 

এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে ভারোত্তোলন ফেডারেশন। তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ হাসান ইমাম বলেছেন, ‘আমরা শতভাগ নিরপেক্ষ থেকে তদন্ত করবো। আমরা চাই না ক্রীড়াঙ্গনে এসে কারও জীবন নষ্ট হয়ে যাক।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও (এনএসসি) তদন্ত করছে এ নিয়ে। এনএসসি’র সচিব মাসুদ করিম বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আমরা এ নিয়ে তদন্ত করবো।’