দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর

এনএসসি ভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীযুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পদাধিকার বলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা এনএসসি’র চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পাশাপাশি এনএসসিকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

দুপুরের পর নতুন চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন এনএসসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকরা। এরপর ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জাহিদ আহসান বলেছেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে যে কোনও দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছি। ইনশাল্লাহ নিজে কোনও অন্যায় কাজে লিপ্ত হবো না, অন্যকেও করতে দেবো না।’

তার বাবা আহসানউল্লাহ মাস্টার ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য। প্রয়াত বাবার আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কণ্ঠে, ‘আমি এর আগে তিনবার সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে কেউ একটি লাইনও লেখার সুযোগ পায়নি। এতদিন নিজের নির্বাচনি এলাকায় কাজ করেছি। এখন থেকে বড় পরিসরে দেশ জুড়ে কাজ করবো। আমার বাবা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের সততা ও নিষ্ঠা ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে কাজ করতে চেষ্টা করবো।’

দীর্ঘদিন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন জাহিদ আহসান। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘দীর্ঘ ১০ বছর এই অঙ্গনে কাজ করার সুবাদে আপনারা সবাই আমার পরিচিত, আমিও আপনাদের পরিচিত। দেশের প্রত্যেকটি স্টেডিয়াম নির্মাণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অবদান আছে। তবে মন্ত্রণালয় নিয়ে যত কথা শুনতে হয়, তার চেয়ে বেশি শুনতে হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নিয়ে। আমি চাই টিমওয়ার্কের মাধ্যমে সব অভিযোগ দূর করতে। আপনাদের সহযোগিতা পেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে একটি মডেল পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।’

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকাকে ক্রীড়াবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা, তৃণমূল পর্যায় থেকে সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদদের তুলে এনে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্রীড়া অবকাঠামোগুলো সংস্কারের মাধ্যমে খেলার উপযোগী এবং ক্রীড়াঙ্গনে নারীবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন নতুন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।