শিরিনের দুঃসময়, সুমাইয়ার ‘ডাবল’

বেশ কিছুদিন ধরেই ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে আসছিলেন শিরিন আক্তার। অনেকদিন পর দুই ইভেন্টেই রাজত্ব হারাতে হয়েছে নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেটকে। ১০০ মিটারের পর ২০০ মিটারেও বিকেএসপির সুমাইয়া দেওয়ানের কাছে শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছেন তিনি! সুমাইয়া দুই ইভেন্টেই সোনার পদক জিতে চমকে দিয়েছেন।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) মেয়েদের ২০০ মিটারে ২৫ দশমিক ২২ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন সুমাইয়া। গতবারের সেরা শিরিন এবারও চোট নিয়ে খেলে ২৫ দশমিক ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্য পেয়েছেন। সেনাবাহিনীর শরিফা খাতুন ২৫ দশমিক ৬৯ সেকেন্ড টাইমিং করে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।

দুই ইভেন্টে আলো ছড়িয়ে বেশ খুশি সুমাইয়া, ‘প্রথমবারের মতো জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। দুই ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। সামনের দিকেও এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চাই।’

বিকেএসপিতে সুমাইয়া দেওয়ানের কোচ মেহেদী হাসান। শিষ্যের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তিনিও, ‘সুমাইয়া আগেও জুনিয়র প্রতিযোগিতায় ভালো করেছে। এবার পুরো প্রস্তুতি নিয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। আর প্রথম প্রতিযোগিতাতেই বাজিমাত করলো। শিরিনের চেয়ে সুমাইয়া বেশি সম্ভাবনাময়ী।’

১০০ মিটার স্প্রিন্টে জেতার পর পেশিতে ব্যথা অনুভব করায় ২০০ মিটারে দৌড়াননি লন্ডন প্রবাসী ইমরানুল। তবে এ ইভেন্টে ভালোই লড়াই হয়েছে। ২১ দশমিক ৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেন নৌবাহিনীর রাকিবুল হাসান ও সেনাবাহিনীর আব্দুল মোতালেব। ফটো ফিনিশিংয়ে সেরা হয়েছেন রাকিবুল। ২২ দশমিক ৪৬ সেকেন্ড টাইমিং করে তৃতীয় হয়েছেন নাঈম ইসলাম।

শেষ দিনে একটি নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। তিন হাজার মিটারে রিংকী বিশ্বাস ১০ মিনিট ২৫ দশমিক ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন।

আর্মি স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে ২২টি সোনা, ১৫টি রুপা ও ১২টি ব্রোঞ্জ মিলিয়ে ৪৯টি পদক নিয়ে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী দলগতভাবে সেরা হয়েছে। ১১টি সোনা, ১৯টি রুপা এবং ১১টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪২টি পদক নিয়ে রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তৃতীয় হওয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অ্যাথলেটরা জিতেছেন ৩টি সোনা, ১টি রুপা ও ৫টি ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক।