বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন সুরো কৃষ্ণর

লন্ডন প্রবাসী আলী জ্যাকোর মাধ্যমে পেশাদার বক্সিংয়ে পা রাখেন সুরো কৃষ্ণ চাকমা। কীভাবে পেশাদার বক্সার হতে হবে, সেই তালিমও সেখান থেকে নেওয়া। ২০১৮ সালে স্বপ্নপূরণও হয় তার। ভারতের হরিয়ানায় অভিষেকে দুই ম্যাচ খেলে দুটিতে জয়ের দেখা মিলে। আর এবার তো দেশের রিংয়ে তৃতীয় ম্যাচে ৬১ কেজি ওজন শ্রেণিতে নেপালের মনেন্দ্র বাহাদুর চাঁদকে হারিয়ে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

তবে এখানেই থেমে থাকতে চাইছেন না রাঙামাটির জুরাইছড়ি থেকে উঠে আসা বক্সার। যেতে চাইছেন বহুদূর। পেশাদার বক্সিংয়ে নাম লিখিয়েছেন। চাইছেন চূড়ায় যেতে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বড় স্বপ্ন যে মগজে গেঁথে নিয়েছেন!

আরও উন্নত ট্রেনিংয়ের সঙ্গে সুবিধাদি পেলে সেটা সম্ভবও। বাংলা ট্রিবিউনের কাছে নিজের স্বপ্নের কথা ভাগাভাগি করেছেন সুরো কৃষ্ণ, ‘অনেক প্রস্তুতি নিয়ে পেশাদার বক্সিংয়ে এসেছি। আলী জ্যাকোই আমাকে এই পর্যন্ত আসতে সাহায্য করেছেন। আমি চাই দেশের সম্মান আরও বাড়াতে। দেশের পতাকা নিয়ে খেলে সম্মান বয়ে আনতে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন লালন করি। আর তা হলে অনেক কিছুর প্রয়োজন।’

পেশাদার বক্সিংয়ের সার্কিটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে লড়াই করতে হলে অন্তত ৭ থেকে ৮ ম্যাচে জিততে হবে। এছাড়া বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে নাম ওঠাতে হবে। এশিয়ান পর্যায়েও ভালো করা প্রয়োজন। সুরো কৃষ্ণর বক্তব্য, ‘পেশাদার বক্সিংয়ে সামনের দিকে এগোতে হলে নিয়মিত উন্নত প্রশিক্ষণ, ফুডিং প্রয়োজন। এছাড়া ব্যক্তিগত স্পন্সরও। যেন দেশের বাইরে গিয়ে খেলার সুযোগ করতে পারি। আমি মনে করি, নিয়মিত সবকিছু পেলে চূড়াতে উঠতে পারবো।’

পেশাদার বক্সিংয়ের পাশাপাশি অ্যামেচারেও খেলছেন সুরো কৃষ্ণ। আন্তর্জাতিক গেমস তথা এসএ কিংবা কমনওয়েলথের দিকে চোখ রেখেছেন। আছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৮ বছর বয়সী বক্সার মনে করছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে অনেক দূর এগিয়ে যাবেন।

সুরো কৃষ্ণের পথ ধরে আল আমিনসহ অন্যরাও পেশাদার সার্কিটে নাম লিখিয়েছেন। দেশের মৃত প্রায় বক্সিংয়ে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছেন। এখন তাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা। ১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে মোশাররফ হোসেন ব্রোঞ্জ পেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। সুরো কৃষ্ণ-আল আমিনরা বহু বছর পর কিছুটা হলেও বক্সিংকে আবার পাদপ্রদীপের আলোতে নিয়ে এসেছেন।