টেনিসের পাতা উল্টে রাখছেন পেজ

২০২০ সালে পেশাদার টেনিসকে বিদায় জানাচ্ছেন লিয়েন্ডার পেজপ্রায় তিন দশক আগে তার ক্যারিয়ার শুরু। ভারতীয় টেনিসের ইতিহাস লিখতে গেলে লিয়েন্ডার পেজের নাম থাকবে অনেক ওপরে। দীর্ঘ পথপরিক্রমা শেষে তিনি বিদায় জানাচ্ছেন পেশাদার টেনিসকে। ২০২০ সালই তার বর্ণিল ক্যারিয়ারের শেষ বছর।

একক ক্যারিয়ারে বেশি কিছু করতে পারেননি, সেরা সাফল্য ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয়। তবে দ্বৈত আর মিশ্র দ্বৈতে অজস্র অর্জনে সমৃদ্ধ পেজ। গ্র্যান্ড স্লামে দ্বৈত আর মিশ্র দ্বৈত মিলিয়ে তার শিরোপা ১৮টি। মহেশ ভূপতির সঙ্গে পেজের জুটি তো ইতিহাস গড়েছে। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তিনটি গ্র্যান্ড স্লামসহ ২৬টি শিরোপা জিতেছেন দুজনে, উঠেছেন দ্বৈত র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে। ‘লি-হেশ’ জুটির কথা কখনোই ভুলতে পারবে না টেনিস সার্কিট।

১৯৯১ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করা পেজ জিতেছেন ৫৪টি দ্বৈতের শিরোপা। আরেকটি বিস্ময়কর তথ্য, দ্বৈতে শতাধিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি! ডেভিস কাপে ৫৬ ম্যাচে ৪৩ জয় নিয়ে পেজই টুর্নামেন্টের সফলতম দ্বৈত খেলোয়াড়।

গত মাসে ডেভিস কাপের এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের সাফল্যেও ছিল তার অবদান। দলকে ৪-০ ব্যবধানে জয় এনে দেওয়ার পথে দ্বৈত ইভেন্টে জিতেছেন তিনি।

বয়স ছেচল্লিশ হলেও ফুরিয়ে যাননি। কিন্তু সব কিছুরই তো শেষ আছে। পেজও তাই বিদায় বলে দিচ্ছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ২০২০ সালই হবে আমার বিদায়ী বছর। আগামী বছর কয়েকটি বিশেষ টুর্নামেন্টেই শুধু খেলবো। বছরটা সতীর্থ, বন্ধু আর ভক্তদের নিয়ে ভালোভাবে উদযাপন করতে চাই।’ বিদায় বেলায় ভক্তদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন, ‘আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমাকে এ জায়গায় নিয়ে এসেছে। আপনাদের অজস্র ধন্যবাদ।’