যেখানে নাদাল-ফেদেরারকে ছাপিয়ে জোকোভিচ

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জোকোভিচের সামনে অষ্টম শিরোপার হাতছানিগত দেড় দশকে টেনিস কোর্টে দুই ‘আর’ রজার ফেদেরার এবং রাফায়েল নাদালের আধিপত্যের কথা সবারই জানা। ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে ফেদেরার টেনিসের সফলতম নাম। একটি কম জিতলেও ফ্রেঞ্চ ওপেনে নাদাল অপ্রতিরোধ্য। রোলাঁ গারোতে ১২টি ট্রফি জিতে খেতাব পেয়ে গেছেন ‘কিং অব ক্লে’। তবে টেনিসের দুই মহাতারকার মাঝে ধ্রুবতারার মতো জ্বলছেন নোভাক জোকোভিচ। হিসেবটা যদি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হয়, তাহলে সার্ব তারকা সবার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

সোমবার শুরু হতে যাওয়া বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে যথারীতি জোকোভিচ ফেবারিট। সেটাই স্বাভাবিক, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তার ঈর্ষণীয় সাফল্য, রেকর্ড ৭টি শিরোপা। একটি ট্রফি কম নিয়ে ফেদেরারও তার চেয়ে পিছিয়ে। মেলবোর্ন পার্কে ৭৬ ম্যাচের ৬৮টিতেই জয় পাওয়া জোকোভিচের সর্বশেষ পারফরম্যান্স হতবাক করে দিয়েছিল টেনিসপ্রেমীদের। গত বছরের ফাইনালে নাদালকে ‘দর্শক’ বানিয়ে জিতেছিলেন ৬-৩, ৬-২, ৬-৩ গেমে।  

গত সপ্তাহে আবার ‘ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান’কে উড়িয়ে দিয়েছেন জোকোভিচ, দলগত টুর্নামেন্ট এটিপি কাপের ফাইনালে নাদালকে হারিয়েছেন ৬-২, ৭-৬ গেমে। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছে সার্বিয়া।

এবার অষ্টম শিরোপার হাতছানি। আত্মবিশ্বাসী ঠিকই, কিন্তু তিন তরুণের দিকে চোখ রাখার কথাও বলছেন জোকোভিচ। তার ধারণা, দানিল মেদভেদেভ, স্তেফানোস সিসিপাস ও ডমিনিক ঠিমের গ্র্যান্ড স্লাম জেতার বেশি দেরি নেই, ‘গত বছর ইউএস ওপেনের ফাইনালে রাফার (নাদাল) বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেছিল মেদভেদেভ। সিসিপাস এখানে (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন) গতবার সেমিফাইনাল খেলেছিল। ডমিনিক ঠিম দুবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে খেলেছে। তারা জয়ের খুব কাছাকাছি ছিল, সোজাসুজি বললে এক সেট দূরে। আমি মনে করি অদূর ভবিষ্যতে তারা ঠিকই শিরোপা জিতবে। এটা হবেই, এটা অনিবার্য।’