সর্বোচ্চ ২০টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী ফেদেরার সুইজারল্যান্ডের আর্থিক সংকটে পড়া সুইজারল্যান্ডবাসীর জন্য তাই দান করলেন ১ লাখ সুইস ফ্রাঙ্ক, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯০ লাখ টাকার মতো। সুইস তারকা এই অর্থ দানের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘আমার ও মিরকার ( তার স্ত্রী) পক্ষ থেকে দেওয়া এই সামান্য অনুদান কেবল শুরু বলতে পারেন। আমরা আশা করি অন্যরাও সুইজারল্যান্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাহায্যে এগিয়ে আসবেন।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ফেদেরার আরও জানিয়েছেন, ‘আমাদের সবাইকে এক হয়েই এই সংকট উতরাতে হবে। সবাই সুস্থ থাকুন।’
হাঁটুর চোটে পড়ে গত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালটা খেলেছেন অস্বস্তির সঙ্গে, হেরে গেছেন নোভাক জোকোভিচের কাছে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠার পথে ফেদেরার। আগেই জানিয়েছিলেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলবেন না। মে মাসে নির্ধারিত ফ্রেঞ্চ ওপেন এমনিতেও হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ওটা পিছিয়ে চলে গেছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। খেলার কথা ছিল তার প্রিয় উইম্বলডনে, যেটি শুরু হওয়ার কথা ২৯ জুন।
উইম্বলডন আয়োজকেরা এখনও আশাবাদী যে ওই সময়ের আগেই করোনার প্রাদুর্ভাব থেমে যাবে এবং উইম্বলডন যথারীতি কোর্টে গড়াবে। এ নিয়ে এখন টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যেই চলছে চাপান-উতোর। অনুশীলন করা যাচ্ছে না, অনুশীলন এটিপি টুর্নামেন্ট স্থগিত, কিভাবে হবে উইম্বলডন! উইম্বলডনও স্থগিত করে দেওয়ার পক্ষে জনমত ভারি হচ্ছে ক্রমশই। এর মধ্যে ২৪ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়ানুষ্ঠান অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় আরও চাপে পড়ে গেছে উইম্বলডন। অ্যাসোসিয়েশেন অব টেনিস প্লেয়ার্স (এটিপি) এবং ডব্লিউটিএ’র (উইমেনস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন) অন্দরে এখন যে আলোচনা চলছে, তাতে বছরের তৃতীয় এই গ্র্যান্ড স্লাম স্থগিত হয়ে যাওয়াটাই হয়তো নিয়তি।